তুরাগে ১০ বছর পর হিজড়ার লাশ উত্তোলন
Published : Tuesday, 6 September, 2022 at 3:27 PM Count : 229
রাজধানীর তুরাগের রাজাবাড়ি কবর স্থান থেকে প্রায় ১০ বছর পর হিজড়া সম্প্রদায়ের মীর হারুন অরফে পিংকি নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জেলা জজ আদালত জামালপুরের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হামিদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তলন করা হয়।
এ সময় তুরাগ থানার এসআই আবুল খায়েরের নেতৃত্বে একটি টহল টিম এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি, জামালপুর) থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ মে নিহতের বোন শাহনাজ বেগম জামালপুর জেলা জজ আদালতে তৃতীয় লিঙ্গের মীর হারুন অরফে পিংকিকে খুন করা হয়েছে মর্মে একটি জিআর মামলা দায়ের করেন।
আবেদনটি আমলে নিয়ে জেলা জজ আদালত অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) লাশ উত্তলনসহ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার সূত্র থেকে জানাযায়, প্রায় দশ বছর আগে (৮ মার্চ ২০১২) জামালপুর জেলার ইসলাম পুরের বটচরে হিজড়া সম্প্রদায়ের একটি ঘরোয়া আলোচনায় ৮/১০ জনের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হোন মীর অরফে পিংকি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মামলার আসামি আপন ওরফে সোহেল (৩২), জুমা ওরফে সবুজ (৪৮), আব্বাস উদ্দিন আশিক (৩২), সজীব অরফে শোনালী (৩৫), রিফাত ওরফে শ্যাম(৩০), মিন্টু ওরফে সালমা (৩৫), সোহাগ ওরফে সোনালী (৩৫) , শান্তা (৩৫) জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা করে পিংকিকে।
মামলার এক নম্বর সাক্ষী ইব্রাহিম ওরফে কচি জানান, মগবাজার এলাকার গুরু হায়দার হিজড়ার গ্রামের বাড়িতে আসামিরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় আমিসহ বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে ঢাকা ফিরে আসি।
তিনি দাবি করেন, ঐ দিনের হামলায় সবাই প্রাণে বাঁচলেও হারুনকে গুরুতর অবস্থায় আপন ও আব্বাস উদ্দিন আশিক আটকে রাখেন।
সাক্ষী খায়রুল ওরফে স্বপ্না জানান, পিংকিকে জামালপুর হত্যা করা হলেও পরের দিন ঢাকার তুরাগ এলাকায় লাশ ফেলে যান আসামিরা।
পরিবারের অনুপস্থিতিতে ঐ দিনই দ্রুত তুরাগের রাজাবাড়ি কবর স্থানে লাশ দাফন করা হয়।
মামলাটির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান , আদালতের নির্দেশনায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিনিটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। এরপর মরদেহের ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এনএন