হিলি স্থলবন্দরে অস্থির চালের বাজার
Published : Tuesday, 16 August, 2022 at 2:47 PM Count : 208
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা।এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিন্ম-মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতারা।
আর বিক্রেতারা বলছেন,মিল মালিকরা চাল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই বাড়ছে দাম।
সরবরাহ কম হওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। হিলি বাজারে মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যে মিনিকেট চাল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই মানের চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৫২-৫৪ টাকার শম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকায়, ৪৬ থেকে ৪৮ টাকার আঠাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায় আর স্বর্ণা ৫ জাতের চাল ৩৮-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, অটো মিল মালিকরা ধানের মজুত গড়ে তুলেছেন। তারা চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে খুচরা বাজারে কেজিতে সব ধরনের চালের দাম ৬-৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে টানা প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর (গত ২৩ জুলাই শনিবার) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয় ভারতীয় নন-বাসমতি চাল আমদানি। ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি ও ডলার রেট উঠানামা করায় লোকসানের আশঙ্কায় চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই এই বন্দরের আমদানিকারকদের।
শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে সরকারের শর্ত মেনেই মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেলেও তার বিপরীতে গেলো কয়েক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ভারতীয় ২০০টি ট্রাকে ৮ হাজার টন চাল প্রবেশ করেছে এই বন্দরে দিয়ে।
এদিকে আগে ব্যাংকগুলোতে ১০ ভাগ মার্জিনে এলসি দিলেও বর্তমানে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ মার্জিনে দিতে হচ্ছে ফলে চাল আমদানি করতে আগ্রহ নেই আমদানিকারকদের। তবে চাল আমদানিতে শুল্ক ফ্রি করে দিলে বাড়তে পারে চালের আমদানি বলছেন এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চালের দাম বেশি বিধায় যে পরিমাণে চাল আমদানি হওয়ার কথা সে পরিমাণে আমদানি হচ্ছে না। আমরা আমদানির চেষ্টা করছি। ভারতে যদি দাম কিছুটা কমে কিংবা সরকার ডিউটি কম নেয় তাহলে পুরো দমে চাল আমদানি করা সম্ভব হবে।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব বলেন, দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকৃত চালগুলো বাজারজাত করতে কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে চাল ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
জিএম/এনএন