For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

গাংনীতে অবৈধ ভাবে চলছে সোনা গলানোর কাজ

Published : Sunday, 20 March, 2022 at 11:20 AM Count : 142

মেহেরপুরেগাংনীতে আইন অমান্য করে সোনা গলানোর কাজ চলছে। স্বর্ণালঙ্কার তৈরির দোকানগুলোতে নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিড দিয়ে সোনা গলানোর সৃষ্ট ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। 

স্থানীয় লোকজন বার বার অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি। 

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছেন।

আর প্রশাসন বলছে, অবৈধ ভাবে এসিড পোড়ানোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনীর ব্যস্ততম শহরে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সমিতিভুক্ত ৪০টি এবং সমিতির বাইরে অন্তত ১৭টি সোনার দোকান রয়েছে। আর কারখানা রয়েছে ১২টি। এসব কারখানায় খোলা স্থানে এসিডে পুড়িয়ে নানা ধরনের গহনা মেরামত ও নতুন গহনা তৈরি করা হয়। আর শতাধিক কর্মচারী রয়েছেন এসব কারখানায়। 

সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড দিয়ে। আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়
সালফিউরিক এসিড। কারখানার এসিড পোড়ানোর ধোয়ায় বাতাস ভারি হয়ে পড়ে। এসিডের গন্ধে স্বাভাবিক ভাবে বেচা কেনা করতে পারেন না ব্যবসায়ীরা।

আর নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হন পথচারীরা। ঝাঁঝালো গন্ধে অনেকেরই ফুসফুসের প্রদাহ বাড়ে এবং অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

২০০৪ সালের এসিড বিধি গেজেটের ১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিনা লাইসেন্সে কোন ধরনের এসিড ব্যবহার করতে পারবে না কেউ। অথচ এ আইন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে উপেক্ষিত।

গাংনী জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুশান্ত কুমার পাত্র বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ব্যবসা করছেন। এসিড পোড়ানো হলেও চুলার পাইপ অনেক উপরে দেয়া হয়েছে। তবে ওই ধোঁয়া নির্গত হলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অসুবিধা হলেও স্বর্ণের গহনা প্রস্তুত ও কাজের জন্য বাধ্য হয়েই এসিডে পোড়ানো হচ্ছে।

নসিলা ড্রাগ হাউসের স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এসিড পোড়ানোর ধোঁয়া ও ঝাঁঝালো গন্ধ নানা ধরনের ক্ষতি করছে। নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিড দিয়ে সোনা গলানোর ধোঁয়া আশপাশের বিভিন্ন দোকানে ঢুকছে। এতে বাজারে আসা মানুষজন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। যারা অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা কোন ভাবেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসতে পারেন না। ধোঁয়া দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। বসে থাকা যায় না। গভীর রাতে এসিড পোড়ানোর কাজটি করলে সাধারণ দোকানদারদের কোন ক্ষতি হয় না। 

একই কথা বললেন মুদি ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমান।

গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলম হোসেন জানান, স্বর্ণের কারখানার পাশেই রয়েছে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসিডের ধোঁয়ায় শিক্ষার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান করতে পারছেন না তেমনি শিক্ষার্থীরাও নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন।

এসিড ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বস দিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম।

-এমআর/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,