সারাদেশে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে
গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে রাষ্ট্র ও দলের পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে সেখানে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। জাতির পিতা ও ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আমাদের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী-
টাঙ্গাইলের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্যালুট প্রদান, কেক কাটা, শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সুবর্ণজয়ন্তী মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দরা।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
পরে একটি র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে অন্যদের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে আলোকচিত্র প্রদর্শন ও সকাল ৮টায় কেক কাটা হয়। বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
টাঙ্গাইলের
মির্জাপুরে মুক্তির মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কেক কাটা, চিত্রাঙ্কণ, রচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সাত দিনব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জের
কোটালীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (
কুবি) সকাল ১০টার দিকে ব্যাডমিন্টন কোর্টে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের নেতৃত্বে র্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। র্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, হলসমূহ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে কেক কাটা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পটুয়াখালীতে ডিসি স্কয়ার মাঠে প্রতুষ্যে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পঞ্চগড়ে সার্কিট হাউস চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুসহ শহিদদের রুহের মাগফেরাত, দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়। পরে মন্ত্রী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিশুদের নিয়ে একশ পাউন্ডের কেক কাটেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।
বিকেল ৩টার দিকে মুক্ত মঞ্চ চত্বরে আয়োজিত ‘‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার’’ উদ্বোধন করবেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। মেলার উদ্বোধন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
-এমএ