‘সমুদ্র সৈকত অর্থনৈতিক ভাবে আমাদের কাজে লাগবে’
Published : Sunday, 6 March, 2022 at 1:35 PM Count : 117
সমুদ্র সৈকত অর্থনৈতিক ভাবে আমাদের ব্যাপক কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রতিবেশী দেশ- ভারত ও মিয়ানমার। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমরা কিন্তু এ অর্জনটা করেছি। এ সমুদ্র সৈকত অর্থনৈতিক ভাবে আমাদের ব্যাপক কাজে লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গোপসাগরে বিশাল সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ আহরণ করতে হবে। মৎস্য সম্পদ আহরণে গবেষণা ও উদ্যোগ নিয়েছি। এখনো আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন, দাবায়া রাখতে পারবে না। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য শুধু স্বপ্ন নয়, পথও দেখিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, সেটা ছিল দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, এবং তিনি ১৯৭৩ সালে মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরিন ফিশারিজ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে দেন। এ সমুদ্রসীমার সম্পদ আরোহণ এবং দক্ষ মানুষ গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। সেইসঙ্গে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে উপযুক্ত শিক্ষা পেয়ে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, সেটাও তিনি মাথায় রেখেছিলেন। কাজেই আজকের এ প্রতিষ্ঠান সগৌরবে বিস্তৃতি লাভ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠান সগৌরবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। ৭৫ এর পর এ প্রতিষ্ঠানে নজর দেওয়া হয়নি। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে দিয়েছি। এখানে নারীরাও ভর্তি হচ্ছে। ক্যাডেটরা যাতে বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পায় সে লক্ষ্যে কোর্স চালু করা হয়েছে। চার বছরের ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চতর ডিগ্রি লাভের সুযোগ রয়েছে। এখানে সিমুলেটর স্থাপন করা হয়েছে।’
মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে এবার নটিক্যাল বিভাগে ৩৩ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩১ জন ও মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ২০ জন নবীন ক্যাডেটের পাসিং আউট হলো। প্রধানমন্ত্রী নবীন এসব ক্যাডেটকে পরিশ্রম, কর্মদক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।