কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে ডুমুরিয়ার চাষিরা
Published : Saturday, 5 March, 2022 at 2:27 PM Count : 147
খুলনার ডুমুরিয়ায় ইরি-বোরো আবাদে কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। প্রতি বছর সার, কীটনাশক, বীজ, ডিজেল ও শ্রমিকের দাম বাড়ছে। সেই অনুপাতে বাড়ছে না ধানের দাম। এতে বোরো চাষাবাদে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
গত বছরের তুলনায় এবারের জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা লিটারে বেশি। এদিকে সার (পটাশ) বস্তা প্রতি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০০ টাকা এবং টিএসপি কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮-১০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। তবুও ধানের দাম এবার ভালো পাওয়ায় আশায় চাষিরা ইরি-বোরো আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জন হয়েছে ২১ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে।
খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের ফারুক জানান, ইরি-বোরো আবাদ করেছি ছয় বিঘা জমিতে। এবার ডিজেল কিনতে হচ্ছে ৮১ টাকা দরে। বেশি দামে ডিজেল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ডুমুরিয়ার গোনালী গ্রামের কৃষক মিজান মাষ্টার জানান, একদিকে ডিজেল কিনতে হচ্ছে বেশি টাকায়। অন্যদিকে সার, কীটনাশকের দামও অনেক বেশি। পটাশের বস্তা ছিল ৭৫০ টাকা করে। সেই পটাশ এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতি বস্তায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২০০ টাকা করে। তা ছাড়া প্রতি কেজি টিএসপিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা করে। খোলা বাজারে ২২ টাকার টিএসপি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
সার ব্যবসায়ীরা জানান, ইরি-বোরো আবাদের প্রথম দিকে সার-কীটনাশকের চাহিদা একটু বেশি থাকে। ফলে আমাদের যেমন কিনতে হয় তেমনই বিক্রয় করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জানান, সরকারি নির্দেশনায় সারের মূল্য বাড়েনি। যদি কোন ব্যবসায়ী সারের মূল্য বৃদ্ধি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
-এমএইচ/এমএ