রংপুর মেডিকেলে দুই টয়লেটে বসে দেখা যায় একে-অপরকে
Published : Monday, 28 February, 2022 at 8:19 PM Count : 422
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডের দুটি টয়লেটের মাঝের দেয়ালে প্রায় ৫ ইঞ্চি ফাকা অংশ দিয়ে দেখা যায় অপর টয়লেট ব্যবহারীকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাই এর কারণ বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতালটির ৩য় তলায় অবস্থিত শিশু বিভাগের ৯নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা ৮০ জন। এছাড়াও রোগীর সাথে আসা লোকজন মিলে ওয়ার্ডের ৩টি ব্লকে আড়াইশোর বেশি।
এ সময় টয়লেট ব্যবহারকারীদের অনেকের অভিযোগ পুরুষ-মহিলার টয়লেট আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দেয়া হয়নি। অনেক শিশুর সাথে পুরুষ অভিভাবক আসে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হলে তাকে এই টয়লেটে আসতে হয়। অপর টয়লেটে নারী ব্যবহারকারী থাকলে সেটা বড় লজ্জার। এখানে নিরাপত্তাও ক্ষুণ্ন হবার আশঙ্কা রয়েছে।
টয়লেটের এমন অবস্থা দেখে অনেকেই নিরুপায় ফিরে যাচ্ছেন, আবার হন্যে হয়ে অন্য ওয়ার্ডে খুঁজছেন টয়লেট সুবিধা। খুরশিদা বেগম নামের এক নারী বলেন, ডান পাশের ব্লকে ১টি বাথরুম ইতোমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে। অপরটিতে ছিটকিনি নেই। বামপাশের ব্লকের টয়লেটের কথা তো আর বলাই যায় না। ওখানে বসলে তো মনে হয় মুখোমুখি হয়েই টয়লেট করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শাহানাজ বেগম নামক এক নারী বলেন, ‘হাসপাতালের বাথরুমে টাইলস লাগালে উন্নত হয় না। আগেও যেমন দেখেছি, বাথরুম নোংরা এখনও সেই। এখানে সার্বক্ষণিক ক্লিনার রাখা উচিৎ। কিন্তু দিনে দুই একবারের বেশি ওদের দেখা যায় না। প্রায় ৩টি টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য। এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। ২টি টয়লেটের মাঝের ওয়ালে ফাঁকা কিভাবে থাকে ভাবা যায় না। এখানে আমাদের গোপনীয়তালঙ্ঘন হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি এই ব্যাপারে জানেন না? এটা দ্রুত ঠিক করে দেয়া উচিৎ।
এ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিমের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি তো এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি খোঁজ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তা অবশ্যই দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করব।
১৯৭৬ সালের মার্চ মাস থেকে রমেক হাসপাতালের পদচারণা শুরু হলেও বরাবরই পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে এই প্রতিষ্ঠানটি। হাতে গোনা দুয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া সব ওয়ার্ডের টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য বলে জানান চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা।
-এলওয়াই/এনএন