For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

Published : Saturday, 26 February, 2022 at 12:37 PM Count : 125

পাবনার জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে পণ্যের দাম যেন আকাশচুম্বী। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।

এদিকে, গত দেড় বছর করোনার ধকল সামলে ওঠার আগেই নতুন করে বিপাকে পড়ছেন তারা।

শুক্রবার বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকান ঘুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চিত্র দেখা গেছে। 

বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, বেশির ভাগ দ্রব্যের দাম সাধারণ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। নিম্ন আয়ের মানুষ যা উপার্জন করছে, তার পুরোটাই খাদ্য দ্রব্য কিনতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ এই সাধারণ জনগণের হাতে অবশিষ্ট থাকছে না।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, অধিক মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে বাজারের কিছু মুনাফালোভী মজুতদার। আর ব্যবসায়ীরা তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট। তাছাড়া সবজির বাজারেও আগুন। অথচ উপজেলার সাহাপুর, লক্ষীকুন্ডা ও মুলাডুলি ইউনিয়নেই চাষ হচ্ছে এই সবজি। 

ভোক্তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীতিমালার সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের অভাবেই আন্তর্জাতিক পণ্যের পাশাপাশি স্থানীয় পণ্য সবজির বাজারও দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি।

গত এক মাসের বাজার অনুপাতে আগে যে পেঁয়াজ ছিল ২৫ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাম সয়াবিন ছিল ১৪০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা, এলপিজি গ্যাস ছিল ১ হাজার ৭০ টাকা, এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। 

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সবজি চাষ হলেও বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করছে তা চড়া দামে। কৃষক থেকে টমেটো আসছে আট থেকে ১০ টাকা কেজি, বাজারে এসে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে আলু ছিল ১২ টাকা কেজি, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। 

বাজার করতে আসা আলম হাসান বলেন, 'বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেশি। এভাবে বাড়তে থাকলে সাধারণ জনগণ চলবে কীভাবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের অঞ্চলে সব ধরনের শাক-সবজির চাষ করা হয়। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকায়ও রপ্তানি করা হয়। পুরো শীতকালে চড়া দামে শাক-সবজি কিনতে হয়েছে। প্রতি বছরই বর্তমান সময়ে টমেটো, শিম, ফুলকপি ও আলু নামমাত্র ক্রয়মূল্য থাকে। অথচ এই বছরই দেখলাম ভিন্ন। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই সঠিক দাম নির্ধারণে ভূমিকা রাখার জন্য।'

কাঁচামাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার ইসলাম বলেন, 'অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সবজির অনেক বেশি দাম। কিন্তু আমরা কী করব! আমরাও অতিরিক্ত দামে গাড়ি ভাড়া দিয়ে কৃষকের জমি থেকে আনতে হয়। আগের চেয়ে বর্তমানে পরিবহন ভাড়া দ্বিগুণ।'

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম বলেন, 'বাজারের সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা-উপজেলার প্রধান বাজারগুলোতে আমি নিজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, 'ভোক্তারা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেব।'

-এনএম/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,