অনুমোদনহীন ২৫ ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ
Published : Saturday, 26 February, 2022 at 12:18 PM Count : 167
ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন প্রায় ২৫টি ইট ভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিশেষ মহলকে ‘ম্যানেজ’ করেই কৃষিজমি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়ও তেতুলীয়া নদীর তীরসহ ২১ ই্উনিয়ন জুড়ে ৩০টি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব ভাটার মধ্যে ২৫টিরই নেই কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইট পোড়ানোর লাইসেন্স। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইন্স নিয়ে ভাটা স্থাপন করে চালিয়ে যাচ্ছে ইট পোড়ানোর কাজ। ইট ভাটার দাপটে উজার হচ্ছে উপকূলের সবুজ বেষ্টনী, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
ইট ভাটাগুলেতে সরেজমিনে অনুসন্ধানে এমন তথ্য মিলেছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলায় ৩০টি ইট ভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটার মধ্যে পাঁচটির অনুমোদন রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইট ভাটা বন্ধ হয়ে গেলেও অবশিষ্ট ২৫টি ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নেই। ১২টি ভাটা জিগজ্যাগ (সিমেন্টের চিমনি) দাবি করলেও একটিরও নেই কোন অনুমোদন। অপর ১৩টি ইটের ভাটায় অবৈধ ভাবে ৩০/৪০ ফুট উচ্চতার চিমনি ব্যবহার করে পুড়েছে ইট।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ঘনবসতি এলাকার কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নামমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটা মালিকরা। অধিকাংশ ভাটায় ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি নেই। লোকালয়ে অবস্থিত হওয়ায় এবং কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের ফসল। দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ।
বিধি বর্হিভূত ভাবে পরিচালিত ভাটা মালিকরা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দফায় দফায় আবেদন করেও আইনী জটিলতার কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে না পারায় তারা বিনা অনুমোদনেই ভাটাগুলো সচল রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল নোমান জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করার জন্য একজন ম্যাজিট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি ইট ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এসএফ/এমএ