নির্বাচন অফিসের সামনে দালালের অফিস
Published : Thursday, 24 February, 2022 at 1:30 PM Count : 186
পটুয়াখালীর বাউফল নির্বাচন অফিসের সামনে কতিপয় দালাল অফিস খুলে বসেছেন। নির্বাচন অফিসে কাজের জন্য আসা প্রত্যেককে দালালের মাধ্যম হয়ে সেবা পেতে হচ্ছে। নির্ধারিত অঙ্কের টাকা না দিলে সেবা পান না সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ উপজেলা নির্বাচন অফিসকে ‘নির্যাতন অফিস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনেই মোশারেফ তালুকদার নামের এক ব্যাক্তি অফিস খুলে বসেছেন। নির্বাচন অফিসে কাজের জন্য গেলে অফিস সহকারীরা প্রথমে মোশারেফ তালুকদারের কাছে যেতে বলেন। এরপর প্রত্যেক কাজের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ভোটার স্থানান্তরসহ নানা কাজে তাকে দিতে হয় নির্ধারিত অঙ্কের টাকা। টাকা পরিশোধের পরই মোশারেফ নিজে অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কাজ করে দেন। অফিসের দোতলায় সিঁড়ির করিডোরেও মোশারেফের জন্য রয়েছে নির্ধারিত চেয়ার।
আব্দুর রহিম নামের এক ব্যাক্তি বলেন, নামের সংশোধনের জন্য অফিসে যাওয়ার পর মোশারেফ সব কাজ করে দিবেন বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমি জানতাম মোশারেফ নির্বাচন অফিসের কর্মচারী।
অবশ্য মোশারেফ তালুকদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই অফিসের লোক না। আমার পরিচিত কেউ কাজে এলে তাদেরকে সহযোগীতা করি।
এদিকে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা না দিলে কাজের জন্য ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। কহিনুর বেগম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি ও আমার স্বামীর ভোটার স্থানান্তরের জন্য ১ বছর আগে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল পাইনি। অফিসে এলেই আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আতাহার মাতুব্বর বলেন, এখানে এলে সবাই মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হন। তাই আমি এটাকে বলি ‘নির্যাতন অফিস’।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসার তারিকুল ইসলাম বলেন, জনবল কম থাকায় শুধুমাত্র নির্বাচনকালীন মোশারেফ তালুকদারকে চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। তিনি অফিসিয়াল কোন কাজ করতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে আইণানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এএস/এনএন