২ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত বগুড়ার সোহাগীর
Published : Sunday, 26 December, 2021 at 7:51 PM Count : 516
অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জের সোহাগী আকতার ভর্তি পরীক্ষায় ২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না। সোহাগীর স্বপ্ন অর্থনীতিবিদ হওয়ার। কিন্তু অর্থাভাবে তার সেই স্বপ্ন পূরণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী সোহাগী এ বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬তম স্থান অর্জন করে। তবে সোহাগী সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়।
সোহাগী জানান, জানুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু তার পরিবারের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাওয়া-আসা মিলে অন্তত ২০ হাজার টাকা দরকার। অথচ তার কাছে কোনো টাকাই নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনার জন্য কেউ যদি পাশে দাঁড়াতেন, তাহলে তিনি পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারতেন। কলেজ থেকে শুরু করে গোটা গ্রাম যখন তার সাফল্যের খুশিতে ভাসছে, তখন সোহাগী তার ভর্তি নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে। সামনে পড়ার খরচ জোটাবেন কেমন করে সেই দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম নেই তার।
বাবা শিবগঞ্জ উপজেলার পলিপাড়া মহল্লার ছফির উদ্দিন অটোরিকশা চালান।যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। মা জাহেরা বেগম গৃহিণী। সোহাগী ৬ ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও তার ভবিষৎ নিয়ে পরিবারের সবাই চিন্তিত।
সোহাগী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার খুব ইচ্ছে আমি মাস্টার্স পাস করে সরকারি চাকরি করব। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় আমি পড়াশোনা চালিয়ে এত দূর এসেছি। এখন কপালে কি আছে কে জানে।
এদিকে তার এই অস্বচ্ছলতার খবর শুনে রবিবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা ও মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তবে এই সহযোগিতার সাথে আরো সহযোগিতা লাগবে। তার আকুতি যেন কেউ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
-এ/এনএন