ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে বৈধকরণ ও দেশে প্রত্যাবর্তন, বিমানবন্দরে ভোগান্তি
Published : Thursday, 23 December, 2021 at 12:03 PM Count : 120
চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বরই শেষ হচ্ছে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া এবং সাধারণ ক্ষমার আওয়তায় নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার। এ কারণে শেষ সময়ে এসে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভীড় দেখা গিয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে অভিবাসীদের চরম ভোগান্তি। প্রতিদিন ১৫০ জন অভিবাসী বা ১০০ জনের মধ্যে ৪০ জনই বিমানের টিকিট কেটেও তারা বিমান মিস করছে।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া জাতীয় গণমাধ্যম দ্য ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকে টিকা না দেওয়ার কারণে তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, টিকা না দিলেও সিভিল অ্যাভিয়েশন ও বিমানের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে এবং দেশে গিয়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে নিজ দেশে যাওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে সেটাও মানা হচ্ছে না। টিকা না দিলে ফেরত দিচ্ছে যাত্রীদের।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে আরো জানায়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় শত শত অবৈধ অভিবাসী। যাদের অনেকেই অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিজ দেশে ফেরার প্রয়োজনীয় অনুমোদন এখনও পায়নি, যার ফলে তারা তাদের ফ্লাইট মিস করছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই বিমানবন্দরে আটকে আছে। কারণ তারা ইমিগ্রেশন বিভাগের পুনর্নির্মাণ রিটার্ন কর্মসূচির অধীনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ১৩ মাস আগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির অধীনে নথিবিহীন অভিবাসীদের বেশ কয়েকটি মানদণ্ড পূরণ করার পরে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রোগ্রামটি ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। সময়সীমার আগে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী দেশটির বিমানবন্দরে অপেক্ষমান রয়েছেন।
অনেকেই বলেছেন, এই মুহূর্তে মালয়েশিয়ার অভিবাসন চাপ সামলাতে অক্ষম। ‘কেএলআইএতে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের প্রক্রিয়া করার জন্য বিশটি কাউন্টার স্থাপন করা হলেও মাত্র ১০টি কাজ করছে।
“অভিবাসন বিভাগ জানত পুনর্নির্মাণ কর্মসূচির শেষ মাসে প্রচুর সংখ্যক লোক প্রস্থান করতে চাইবে। তাদের প্রস্তুত করা উচিত ছিল।” অবৈধ অভিবাসীরা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন। কিন্তু তবুও অনেকে ফ্লাইট মিস করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মালয়েশিয়ার আইনকে সম্মান করেছিলেন এবং পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু এখন বাড়ি ফিরতে না পারায় অভিবাসীরা ব্যথিত। অনকে বিমানবন্দরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছে, তাদের মধ্যে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ও সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আবারও বাড়ানো হতে পারে। তবে মেয়াদ বাড়ানোর কোন ঘোষণা আসেনি।
-এএম/এনএন