জার্মানিতে টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষের ওপর চাপ বৃদ্ধি
Published : Thursday, 2 December, 2021 at 3:40 PM Count : 85
জার্মানিতে আগামী সপ্তাহে নতুন সরকার কার্যভার গ্রহণ করার আগেই ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বিশেষ করে করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুকদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
করোনা সংকট মোকাবিলায় আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জার্মানি। মঙ্গলবার বিদায়ী ও সম্ভাব্য চ্যান্সেলরের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে নীতিগত ঐকমত্যের পর বৃহস্পতিবার তাঁরা আবার টেলিফোন কনফারেন্সের মাধ্যমে মিলিত হয়ে একগুচ্ছ নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
টানা তিন দিন ধরে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার সামান্য মাত্রায় কমে চলায় কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিকরা এখনো সতর্ক থাকার পক্ষে সওয়াল করছেন। বিশেষ করে হাসপাতালগুলির উপর চাপ মোটেই কমছে না বলে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরো কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষকে যতটা সম্ভব একঘরে করে রেখে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে দোকানবাজারসহ অনেক জায়গায় তাদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার কথা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আগামী বছরের শুরুতে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে। জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
জার্মানির রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী পরিষদের বর্তমান সভাপতি নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেন্ডরিক ভ্যুস্ট বুধবার বলেন, করোনা সংক্রমণের নাটকীয় হার কমাতে কড়া পদক্ষপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ঢিলেমির অবকাশ আর নেই। ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে সম্ভাব্য নতুন সরকার সংক্রমণ সুরক্ষা আইন আরো জোরালো করতে নতুন সংশোধনী আনতে রাজি হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সে ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লকডাউন জারি করা সম্ভব হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কমাতে এবং সর্বত্র টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষের প্রবেশাধিকার সঙ্কুচিত করলে অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপের আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। বিশেষ করে দোকানবাজার ও অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে আয়ও কমে যাবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
আরো বেশি কিশোর ও তরুণদের করোনা টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে শলৎস এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলে শুধু বয়স্করা গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, তরুণরাঅল্পেই সেরে উঠছে – এখন আর এমনটা দেখা যাচ্ছে না। ফারাক শুধু টিকাপ্রাপ্ত ও টিকা না নেওয়া মানুষের মধ্যে রয়েছে। শলৎস বলেন, কেউ টিকা না নিলে শুধু নিজেকে নয়, আশেপাশের শিশু ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে বিপদে ফেলা হয়। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
-এনএন