অবসরে বেলকুচির গুণী শিক্ষক আব্দুর রউফ
Published : Wednesday, 10 November, 2021 at 11:01 AM Count : 598
সফলতার সঙ্গে সরকারি চাকরিকাল শেষ করে অবসরে গেলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গুণী শিক্ষক মো. আব্দুর রউফ সরকার। তিনি উপজেলার আজগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ০৯ নভেম্বর ছিল তার শেষ কর্মদিবস। এ উপলক্ষে তার নিজ বিদ্যালয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মো. আক্তার হোসেন, সহকারী উপজেলা ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মো. আব্দুল হালিম ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সামসুল হুদা, সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেলিম রেজা।
সবার বক্তব্যেই উঠে আসে তার গুণের কথা, তার অবদান মনে রাখবে উপজেলা শিক্ষক সমাজ, সবশেষে তার নিজের বক্তব্যের সময় অনুষ্ঠানে কান্নার রোল পরে যায়, অনুষ্ঠানে মোনাজাত করে তার সুস্থতা কামনা করেন সবাই।
একজন দক্ষ সংগঠক একজন আদর্শ মানুষ মো. আব্দুর রউফ সরকার সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১৯ নভেম্বর চাকরি জীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালের ০৫ নভেম্বর পদন্নোতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি চাকরি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। তিনি শুধু নিজের বিদ্যালয়ের কথাই ভাবেননি, তিনি সব সময় ভেবেছেন কিভাবে উপজেলার শিক্ষার মান ও শিক্ষকের মানোন্নয়ন করা যায়। শিক্ষকের মানোন্নয়নের সুযোগ তিনি বিভিন্ন ভাবে নিয়েছেন।
বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞান প্রশিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন দীর্ঘদিন, উপজেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখেছেন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। নিষ্ঠার সঙ্গে অতিবাহিত করেছেন চাকরি জীবনের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত। প্রধান শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষক ছাড়াও বাংলাদেশ স্কাউট বেলকুচি উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চাকরি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের জীবন গঠনে কাজ করে গেছেন অবিরত।
নিজের বিদ্যালয়কে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে এই উপজেলার সুনাম অর্জন করেছেন একাধিকবার। তার এমন অবদান বেলকুচি উপজেলা শিক্ষক সমাজ কোন দিনও ভুলবে না বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক শিক্ষক।
-এমএ