মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকলে খসড়া আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। বেশ শক্ত একটা স্ট্যান্ড নেওয়া হয়েছে। জরিমানাটা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরপত্রের জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোন পরীক্ষার্থী যদি অসুদপায় অবলম্বন করেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে অসুদপায়ে সহযোগিতা করে তাহলে সেও সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।’
পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যদি কোন অপরাধ করে তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের মধ্যেও এটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদের বিচারের আওতায় এনে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেয়া যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা ১৯৭৭ সালের অর্ডিন্যান্স ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেটা নিয়ে আসা হয়েছে। এটা রুল বেইজড আইন। ম্যাক্সিমাম জিনিসগুলো রুল দিয়ে করে নেওয়া হবে। জেনারেল একটা প্রভিশন লে-ডাউন করে দেয়া হয়েছে আইনটাতে। খসড়া আইনে ১৫টি ধারা রয়েছে। যেহেতু রুল বেইজড আইন, সব প্রসিডিউরগুলো পরবর্তীতে রুলের মাধ্যমে করে দেয়া হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘খসড়ায় কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে। সেই বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। কমিশনে কমপক্ষে ছয় জন সদস্য থাকবেন, তবে সদস্য কোন ভাবেই ১৫ জনের বেশি হবে না। একটা আউট লাইন করে দেয়া হয়েছে। বাকি ফরমেশনটা রুল দিয়ে করে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের (পিএসসি) দায়িত্ব হলো সংবিধানের ১৪০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন রিক্রুটমেন্ট ও অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে তারা দায়িত্ব পালন করবে। কমিশনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা প্রদান করতে হবে, এমন একটা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আইনে। পরীক্ষা পদ্ধতি কীভাবে হবে সেটার একটা আউট লাইন খসড়া আইনে করে দেয়া হয়েছে।’
কিছুদিন থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে আছে, সরকার প্রদত্ত অন্য কোন দায়িত্ব (পালন করবে পিএসসি)। সেটা রুল দিয়ে করে দেয়া যাবে।’
কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণির নিয়োগের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রিসাইজ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিভিন্ন ফোরামে, সর্বোচ্চ ফোরামে, এ জাতীয় আলোচনা হয়েছে- আলাদা একটা পিএসসি গঠন করে করা (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ) যায়। তবে প্রিসাইজ কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।’
-এমএ