সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জহিরুল হক রায়হান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় করিহাট পৌরসভায় শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে রোববার প্রতি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পৌঁছানো হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছেন সতর্ক অবস্থায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
সূবর্ণচরে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
একাধিক কেন্দ্র ঘুরে দেখায় যায়, ভোটারদের বেশ ভিড়। ২ নং চরবাটা ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। তবে ভোটগ্রহণ একটু ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভোটাররা। ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা, ভোটার স্লিপ না আনাসহ রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭ জন। পুরুষ সদস্য পদে ২০৩ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৬ জন নির্বাচনী লড়াই করছেন। ছয়টি ইউনিয়নে ৫৬টি কেন্দ্রে এক লাখ ১৯ হাজার ৮১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এ উপজেলার ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তায় ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দু'জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৫৫৭ জন পুলিশ, ৯৫২ জন আনসার, ছয় প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের আটটি টিম, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়টি মোবাইল ফোর্স ও দুটি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া, হাতিয়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে ৮৬টি কেন্দ্রে এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সাতটি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৩ জন, পুরুষ সদস্য পদে ২৯৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিন জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৬৭৫ জন পুলিশ, এক হাজার ৪৬২ জন আনসার, ছয় প্লাটুন কোস্টগার্ড, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের পাঁচটি টিম, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৭টি মোবাইল টিম ও ৩ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
স্ব স্ব নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৪৫১ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। নয়টি ওয়ার্ডে ৩০ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে লড়বেন। পুরুষ সদস্য পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি কেন্দ্রে পাঁচ জন পুলিশ, নয় জন আনসার থাকবেন।
এছাড়া, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের চারটি টিম, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চারটি মোবাইল টিম ও র্যাবের তিনটি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
-আইইউ/এমএ