কুবির এক ব্যাচের ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ
Published : Monday, 20 September, 2021 at 10:55 AM Count : 340
বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ, সরাসরি উপাচার্যের কাছে যাওয়া ও ফেসবুকে লেখালেখি করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের ৪০ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন স্বাক্ষরিত নোটিশ শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনারা বিভাগীয় ৪র্থ ব্যাচ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গত পহেলা সেপ্টেম্বর ও তৎপরবর্তী সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম, সোসাল মিডিয়া এবং ফেসবুকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও বিভাগীয় শিক্ষকদের নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। এমনকি শিক্ষকের সঙ্গে আপনাদের একাডেমিক আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ভাষা উন্মুক্ত ভাবে উপস্থাপন এবং স্কিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটি আপনারা করতে পারেন কি না সে বিষয়ে বিভাগ জানতে চায়।
বিভাগীয় শিক্ষকরা অবশ্যই শিক্ষার চলমান অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভাগ একাডেমিক বিষয়ে তৎপর। তথাপি আপনাদের এ ধরনের অশোভন আচরণে বিভাগ মর্মাহত। তাছাড়া বিভাগীয় একাডেমিক বিষয় নিয়ে আপনারা বিভাগীয় ছাত্র-উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা ব্যতিরেকে বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সরাসরি উপাচার্য মহোদয়ের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আপনাদের এ ধরনের আচরণ বিভাগীয় শৃঙ্খলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধিকে লঙ্ঘণ করেছে।
এ বিষয়ে ব্যাচটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা বিভাগের হাতে নেই, তাই আমরা সরাসরি উপাচার্য স্যারের কাছে গিয়েছিলাম আমাদের পরীক্ষার দাবিতে৷ আর এসব নিয়েই ফেসবুকে আমরা লেখালেখি করেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে বিভাগের কারণ দর্শানোর এমন নোটিশে আমরা শংকিত, হতবাক।
নোটিশের বিষয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ছাত্রদের দাবি দাওয়া ছাত্ররা করবেই। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন শিক্ষককে বিব্রত করে নয়। আর কোন বিষয়ে বিভাগে আলোচনা না করে সরাসরি উপাচার্য স্যারের কাছে গেলে বিভাগে শৃঙ্খলা থাকে না। এসব কারণেই তাদেরকে এ নোটিশটি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ব্যাচের ক্লাস প্রতিনিধিকে আমি জানিয়েছি। তাদেরকে ওইভাবে জবাব দিতে হবে না। যেহেতু তাদের পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষে আমরা তাদের সঙ্গে বসবো এবং উদ্ভূত বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধান করবো।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই সেশনজটে বিপর্যস্ত। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ব্যাচটি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তারা প্রায় পাঁচ বছরে মাত্র চারটি সেমিস্টার শেষ করতে পেরেছে৷ রোববার থেকে ব্যাচটির ৫ম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷
-এসবি/এমএ