সাতক্ষীরায় নিউমোনিয়া রোগের ব্যাপক প্রকোপ, বেড়েছে মৃত্যুও
Published : Saturday, 18 September, 2021 at 11:05 PM Count : 140
সাতক্ষীরায় হঠাৎ করে শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারিভাবে সদর হাসপাতালে মাত্র ২৬টি শিশু শয্যার বিপরিতে এখন ১২৬জন শিশু ভর্তি রয়েছে। চলতি মাসের ১৭দিনে ৪৩৭ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যা গড়ে প্রতিদিন ২৬জন করে ভর্তি হচ্ছে। আর এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ শিশুর। মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে শিশু বিভাগ। কর্তৃপক্ষ বলছেন চিকিৎসক ও জনবল সংকটের পরও সেবা প্রদানের সর্বাত্তক চেষ্টা অব্যহত আছে।
মাত্র একশ শয্যার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশু বেড রয়েছে ১১টি, কেএমপি বেড ৩টি ও কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় আরও ১২টি বেড বৃদ্ধিতে মোট ২৬টি বেডের বিপরিতে ১২৬জন শিশুকে এখন চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের একটি বেডে ২/৩ জন শিশু দেখা গেছে। বারান্ডা সিড়ির ঘর ও বেডের নীচেও শিশুদের চিকিৎসা চলছে। তিল ধারণের ঠাই নাই পুরো ওয়ার্ড জুড়ে। একমাত্র চিকিৎসক ওয়ার্ডে রোগি দেখে আউডডোরে রোগি দেখার সময়ই পাচ্ছেন না।
অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যুতের সংকট, সবস্থানে ফ্যান না থাকা, অতিরিক্ত গরমে শিশু রোগি ও অভিভাবকরাও নাকাল হয়ে পড়ছেন। ফলে জরুরীভাবে আরও শিশু চিকিৎসক যুক্ত করার দাবী ভুক্তভোগিদের।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একমাত্র শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার সরকার জানান, ঋতুজনিত কারণে এখন শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ২৬ থেকে ৩০ জন করে ভর্তি হচ্ছে। এরফলে বেডে জায়গা সংকুলান হচ্ছেনা। রোগি ও রোগির স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছেন। তবে তিনি রোগির অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, শিশুরা অসুস্থ্য হলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে আনার দাবী জানান। তা না হলে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। অতীতের তুলনায় বেড়েছে মৃত্যুর হারও।
রাতে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাফায়েত হোসেন জানান, শিশু রোগি যেমন বেড়েছে, তেমনি চিকিৎসক, জনবল সবই চরম সংকট। এরই মধ্যে মানুষকে সেবা প্রদানের কার্যক্রম অব্যহত আছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু সদর হাসপাতাল নয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালেও শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, কোন শিশু নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে সেসব স্থানে নেওয়ার আহবান জানান।
এমজেডআর/এসআর