For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

ভাতিজাকে টয়লেটের মেঝেতে পুতে রাখলো চাচী

Published : Friday, 17 September, 2021 at 12:02 PM Count : 353

মাদারীপুরেশিবচরে অপহরণের তিন দিন পর টয়লেটের মেঝের নীচে বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় শিশুটির চাচী নার্গিস আক্তার ও চাচাতো বোন হাফসা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর রাতে শরীয়তপুরেজাজিরায় শিশুটির চাচার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কুতুব উদ্দিন (দুই বছর চার মাস) শিবচরের ইসমাইল বেপারির ছেলে।
স্থানীয়, পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শিবচরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ওহাব বেপারির বড় ছেলে আবুল হোসেন বেপারির মৃত্যুর পর তার স্ত্রী নার্গিস দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকাতে বসবাস করেন। স্বামী পীরের বাড়িতে গিয়ে মারা গেলেও নার্গিস এ মৃত্যুর জন্য শ্বশুরসহ ওই বাড়ির লোকদের দায়ী করতো। 

এছাড়াও, স্বামীর মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই ইসমাইল বেপারিকে নার্গিস বিয়ে করতে চাইলে পরিবার এতে রাজী হয়নি। উভয় ঘটনার সঙ্গে জমিজমা নিয়েও বিরোধ ছিল তাদের মাঝে। গত মঙ্গলবার ওহাব বেপারির বাড়িতে বেড়াতে আসে নার্গিস আক্তারের মেয়ে হাফসা আক্তার (১৪)। পর দিন বুধবার সকালে মা নার্গিস ফোন দিলে মেয়ে হাফসা বাড়িতে রওনা করে। চলে যাওয়ার আগে হাফসা চাচা ইসমাইল বেপারির স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে তার একমাত্র শিশুপুত্র কুতুব উদ্দিনকে কোলে নেয়। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে সটকে পড়ে। 

সন্তানসহ ভাবী ও হাফসাকে বাড়িতে গিয়েও না পেয়ে কুতুব উদ্দিনের বাবা ইসমাইল বেপারি শিবচর থানায় অভিযোগ করে। একটি মাদ্রাসার সিসিটিভি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় হাফসা কুতুব উদ্দিনকে নিয়ে তার মা নার্গিসের কাছে দেয়। নার্গিস শিশুটিকে কাপড়ে ঢেকে সটকে পরে। কিন্তু কোন কিছুতেই নার্গিস বিষয়টি স্বীকার করছিল না। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর নার্গিস তার ঘরের ভেতরের মধ্যে নির্মাণাধীন টয়লেটের মাটির নীচে শিশুটিকে পুতে রাখা হয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশ নার্গিসকে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে তার ঘরের টয়লেটের মেঝেতে পুতে থাকা অবস্থায় কুতুব উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। 

শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, নার্গিস মূলত তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের উপর ক্ষিপ্ত, পরবর্তীতে বিয়ে নিয়েও ক্ষুদ্ধ ছিল। সে তার মেয়েকে দিয়ে শিশুটিকে কৌশলে কাছে আনে। আমাদের ধারণে সে ও তার মেয়ে দুজনে মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নার্গিস নিজেই দেখিয়েছি লাশের অবস্থান। 

-এসএস/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,