নাগেশ্বরীতে লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং চরমে
Published : Monday, 13 September, 2021 at 2:51 PM Count : 302
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও নাগেশ্বরীতে থামছে না পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং।
পৌরসভার সাতানি পাড়ার নাট্যকর্মী আবু হোসেন সরকার বলেন, সন্ধ্যার পরই কমে যায় বিদ্যুতের ভোল্টেজ। কমে আসে আলো। আবছা আলোয় ঝাঁপসা হয়ে যায় চারদিক। দিন শেষে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থাকলেও মিটি মিটি আলোয় লেখা অস্পস্ট হয়ে চোখে প্রতিফলিত হওয়ায় তা আর হয়না।
সুখাতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যা নিকেতনের সহকারী শিক্ষক মনিরচরের শামিমা আখতার বলেন, বিদ্যুতের ভোল্টেজ এতটাই কমে যায় যে, বিদ্যুতের পাখা প্রায়ই ঘোরে না। অসহ্য গরমে কষ্টে কাটে সময়।
বামনডাঙ্গা সেনপাড়া গ্রামের বকুল সেন বলেন, আমরা যারা পৌরসভার বাইরের গ্রাহক তাদের ভোগান্তি আরও অনেক বেশি। প্রতি সন্ধ্যায় লোডশেডিং নিয়মিত ঘটনা। কখন আসবে তার ঠিক নেই। তারপর রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আবারও লোডশেডিং। কোন দিন গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও রাতের বাকি সময় আর দেখা মেলে না। ঝড়, বৃষ্টি, বাতাসে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে সময় কাটে। আকাশে মেঘ দেখা দিলে ও বিদ্যুত চমকালেও একই ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা ঘটছে শহরেও।
মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অথ্যাপক ঠুটাপাইকরের মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ দায়সারা কারণ দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যান। প্রায় দৈনন্দিন এমনটা ঘটে। আমরা খুবই অসন্তুষ্ট তাদের এ আচরণে।
ঠিক একই রকম কথা বলেন আরও অনেক গ্রাহক। ভোগান্তি বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমান বলেন, লোডশেডিং জাতীয় গ্রিড থেকেই দেয়া হচ্ছে। আর অতিরিক্ত গরমের কারণে সারাদেশে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় লো ভোল্টেজ। তবে কবে নাগাদ তা স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলে অথবা গরম কমে ঠান্ডা এলে লো ভোল্টেজ কমতে পারে।
-কেএস/এমএ