লাশবাহী খাটিয়াও নিতে হয় নৌকায়
Published : Wednesday, 1 September, 2021 at 1:32 PM Count : 457
এখনো রয়ে গেছে গাও গেরামে সেই আদিকালের যোগাযোগ ব্যবস্থা। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে যাতায়াত। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া ও গোরাইয়ার দ্বীপ এলাকার মানুষ এখনো নৌকায় যাতায়াত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি কাঠের সাঁকো বা সেতুর অভাবে নৌকা নির্ভর জীবনযাপন পাঁচ হাজারের অধিক মানুষের। যাতায়াতের একটি মাত্র মাধ্যম কাঠের নৌকা।
সোমবার এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে এ এলাকায়। কাঠের নৌকা দিয়ে রোববার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছগির আহমদের লাশ খাটিয়ায় আনা হয় খালের এ পাড় থেকে ওপারে। ঝুঁকি নিয়ে কোনমতে লাশ নিয়ে হাজির জানাযার উদ্দেশ্যে। লাশ আনার আগে ও পরে শত শত মানুষ খাল পার হয় মাত্র দুটি ডিঙি নৌকার সহায়তায়।
এলাকাবাসী জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও অবহেলিত সিকদার পাড়া ও গোরাইয়ার দ্বীপের প্রায় ছয় হাজার মানুষ। সারাদেশে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও এ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙি নৌকা। বর্ষাকালে পানির প্রবল স্রোতে অসংখ্য বার নৌকা উল্টে শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাতারে খাল পার হয়েছে।
তাছাড়া শত শত স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, কাঠের নৌকা দিয়ে খাল পার হওয়া জনসাধারণের দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে মরদেহ কবরস্থানে নিতেও নৌকার প্রয়োজন হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সিকদার পাড়া ও গোরাইয়ার দ্বীপ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একটি ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
-এফএ/এমএ