প্রায় দুই যুগ ধরে স্থবির সাংবাদিক মুকুল হত্যাকাণ্ডের বিচার
Published : Monday, 30 August, 2021 at 1:11 PM Count : 178
যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যাকাণ্ডের বিচার ২৩ বছরেও শেষ হলো না।
এর মধ্যে এক যুগ ধরে নানান জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতায় স্থবির রয়েছে এ মামলার বিচার কাজ।
এই প্রতিবন্ধকতা দূর করে মামলা সচল করার তেমন উদ্যোগও নেই রাষ্ট্রপক্ষের। এতে ক্ষুব্ধ সাইফুল আলম মুকুলের পরিবার ও যশোরের সাংবাদিক সমাজ।
আজ ৩০ অগাস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মুকুলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ অগাস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পর দিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারো নাম উল্লেখ না করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে পড়ে। আর এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন।
২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জগঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে।
আদালত সূত্র জানায়, মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি ইত্তেফাকের সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচার কাজ উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বন্ধ রয়েছে। এই স্থগিতাদেশ নিস্পত্তির পর বিচার কার্য এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
সাংবাদিক সাইফুল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেস ক্লাব ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে শোক র্যালি, তার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি।
-এসকে/এমএ