নীলফামারীতে পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে যুবকের অনশন
Published : Thursday, 26 August, 2021 at 2:35 PM Count : 374
নীলফামারীর জলঢাকায় ২৯ বছর পর পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে জসিয়ার রহমান নামে এক যুবকের অনশন।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের মনিহারি পট্টিতে পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে বাবার দোকানের সামনে অনশন করে ওই যুবক।
অনশনরত জসিয়ার রহমান জানান, ১৯৯১ সালে আমার জন্ম হয়। জন্মের পর বাবাকে দেখিনি। পরে যখন জানতে পারি, জলঢাকা পৌরসভার উত্তর কাজিরহাট মফিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং খালিশা চাপানী মেম্বার পাড়ার মা জোসনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। আমার জন্মের ১বছর পর বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়েছে। যখন থেকে বুঝতে ও জানতে শিখেছি, তখন থেকে আমি আমার বাবার সন্ধান করতে শুরু করি। ১০ বছর বয়সে খুঁজে পাই বাবাকে।
তিনি আমার পরিচয় পেয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন। ১৬ বছর বয়সে আবারও এসেছিলাম বাবার কাছে।এরপরেও আমার প্রতি মায়া জন্মেনি বাবার। এবার এসেছি ২৯ বছর বয়সে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি আমার ২ শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে।
আমাদেরকে দেখে বাবা ঝটপট দোকান বন্ধ করে কেটে পড়েন। তাই আমরা দোকানের সামনে অবস্থান করছি পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে। জসিয়ার আরোও বলেন, ‘বাবার জায়গা-জমি চাই না, ঘরবাড়ি চাই না, শুধু পিতৃ পরিচয় চাই।’
এ বিষয় জসিয়ারের মামা মাওলানা মাহবুবার রহমান বলেন, আমি ও নজরুল ইসলাম আমরা এক সঙ্গে আলিম, ফাজিল এবং কামিল পাশ করেছি। বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তার সাথে আমার বোনকে প্রায় ৩২ বছর পূর্বে বিয়ে দিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন পর তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে বোনের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। সে কারণে ৮ মাসের গর্ভাবস্থায় বোনকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি।
বাচ্চা হওয়ার পর প্রায় একবছর পরে তাদের ডিভোর্স হয়। আমরা আমাদের পরিচয়ে ভাগ্নেকে মানুষ করেছি ও বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পরে ভাগ্নে শ্বশুরালয়ে থাকে।
এদিকে বিয়ের কথা স্বীকার করলেও অস্বীকার করেন সন্তানের কথা নজরুল ইসলাম।
-এইচএস/এনএন