আড়িয়াল খাঁ নদীগর্ভে বিলীন অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি
Published : Tuesday, 24 August, 2021 at 7:48 PM Count : 122
মাদারীপুর জেলার কালকিনির সিডি খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁ গ্রামে আড়িয়াল খাঁ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, মসজিদসহ কয়েক একর ফসলি জমি।
ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে তাদের ঘর ভেঙে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
নতুন করে গত কয়েকদিন যাবত আড়িয়াল নদীর ভাঙন শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।
এদিকে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধনসহ সভা-সমাবেশ করছে ভুক্তভোগী পরিবাররা। অপরদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কালকিনি উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সিডি খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁ গ্রাম। এ গ্রামের একেবারে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদী। এ গ্রামটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় অবহেলিতভাবে পড়ে আছে। বিগত দিনেও নদীগর্ভে চলে গেছে এ গ্রামের অনেক গাছপালা, বাড়িঘর ও কয়েকশ একর ফসলি জমি। নতুন করে কয়েক দিনের মধ্যে মজিবর শরিফ, দেলোয়ার শরিফ, আনোয়ার, রফিক ভান্ডারি, মজিদ বেপারীর মসজিদ, মাসুম বেপারী ও স্বপন শরিফসহ প্রায় অর্ধশত লোকজনের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরো জানা যায়, বর্তমানে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সত্তার মাওলানার মাজার, মনির খাঁন, কামাল খাঁন, নজরুল সিপাহিসহ শতাধিক বসতবাড়ি। ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। এতে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের মানুষ।
এদিকে নদী ভাঙনরোধে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপরদিকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী তনু চন্দ্র কর ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত রফিক ভান্ডারী ও আলাল শরিফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আড়িয়াল খাঁ নদীতে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখনও অনেক বাড়িঘর ভাঙছে। তাই আমরা এখানে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।’
এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসানের নির্দেশক্রমে আমিসহ সহকারী প্রকৌশলী তনু চন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের নির্দেশ মতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।’
-এএস/এনএন