মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
বরিশালে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের ‘সমঝোতা’
Published : Monday, 23 August, 2021 at 9:57 AM Count : 631
বরিশালে ইউএনও'র বাসভবনে হামলার ঘটনায় সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উভয়পক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত ভাবে সম্মত হয়েছেন।
রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসানের সরকারি বাসভবনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, উভয় পক্ষই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনের লক্ষ্যে এক ধরনের ‘সমঝোতায়’ পৌঁছেছে।
বৈঠক শেষে রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ পুলিশ বিভাগ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তোলা একটি গ্রুপ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পরে গভীর রাত ১টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে। সেখানে ‘ভুল বোঝাবুঝি ভুলে’ সামনের দিনে উভয়পক্ষ একসঙ্গে কথা করার কথা বলা হয়।
বৈঠক শেষে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে সেখানে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোয় কোন বাড়াবাড়ি করবে না দু'পক্ষ। মামলাসহ যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোরও সমাধান করা হবে। তাছাড়া আগামী দিনগুলোয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা মিলেমিশে কাজ করবে এবং কোন রকম রাগ কিংবা ক্ষোভ ভেতরে পুষে রাখবে না। পরে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়িত করেন বিভাগীয় কমিশনার।’
বৈঠকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক জামিল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ অগাস্ট রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ব্যানার অপসারণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় আওয়ামী লীগ এবং সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান। সেই ঘটনায় হামলা সংঘর্ষ এবং গুলিবর্ষণে পাঁচ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ক্ষমতাসীন দলের ৩০ নেতাকর্মী।
পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করেন ইউএনও ও পুলিশ। যার পাল্টা হিসেবে রোববার বরিশালের আদালতে আবার ইউএনও মুনিবুরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিসিসির একজন প্যানেল মেয়র ও একজন কর্মকর্তা।
আবেদন আমলে নিয়ে পিবিআইকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।
-এমএ