খালের বাঁধ উধাও, পানির নিচে দুইশো বিঘা আমন ধান

বগুড়ার নন্দীগ্রামে নামুইট খালের বাঁধ কেটে ওই মাটি কাথম-কালিগঞ্জ সড়ক সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে নামুইট-দলগাছা মাঠের প্রায় দুইশো বিঘা রোপা আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রোপা আমন ধানের চারা। দিশেহারা হয়ে পরেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার নিনগ্রাম হতে ভোবানিপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। এতে করে ওই এলাকার কৃষকরা জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু নামুইট ব্রিজ থেকে শীলাল মাজার মোড় পর্যন্ত খালের বাঁধের মাটিকেটে রাস্তার কাজে ব্যবহার করার কারণে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে প্লাবিত হয়েছে নামুইট-দলগাছা মাঠের দুইশো বিঘা রোপা আমন ধানের জমি।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ নামুইট ব্রিজ থেকে শীলাল মাজার মোড় পর্যন্ত খালের বাঁধের মাটি কেটে কাথম-কালিগঞ্জ সড়ক সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকার জনসাধারণ খালের বাঁধের মাটি কাটতে বাধা প্রদান করলেও রাতের আধাঁরে তারা ওই বাঁধের মাটি কেটে বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে। নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বাঁধ নির্মাণ করে দেয়নি।

রাস্তা নির্মান কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বাঁধের মাটি নিয়েছি এটা সত্য। তবে বর্ষার কারণে আমরা ওই খালের বাঁধটি নির্মাণ করে দিতে পারছিনা। বাঁধের কাজ আমরা করে দিবো।

এবিষয়ে নন্দীগ্রাম বিএডিসি’র ক্ষুদ্রসেচ ইউনিটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাকসুদুল করিম রানা জানান, নামুইট খালের বাঁধের মাটি আমাদের অনুমতি ছাড়াই কাটা হয়েছে। আমাদের কোন কিছু না জানিয়েই কাথম-কালিগঞ্জ সড়ক সম্প্রসারণকারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাঁধের মাঠি কেটে ফেলেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

একেএ/এসআর