For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

করোল্লা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

Published : Saturday, 14 August, 2021 at 11:12 AM Count : 446

বগুড়ার সদর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলা সবজি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। সবজির মধ্যে করোল্লা ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে বগুড়া জেলায়। বগুড়ার কৃষকরা করোল্লা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়ে থাকে। 

বগুড়া সদরের শাখারিয়ার কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করেছে। করোল্লাসহ বাজারে বিভিন্ন সবজির চাহিদা বেড়েছে। করোল্লার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, বিঘা প্রতি করোল্লা উৎপাদনে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সেখানে বিঘা প্রতি করোল্লা ও উচ্ছে (ছোট করোল্লা)  উৎপাদন হয়ে থকে ৬৫ থেকে ৭৫ মণ। এখন আর তাদের জমির ফসল বিক্রি করতে হাটে যেতে হয় না। পাইকাররা ক্ষেতে এসে টাটকা সবজি কিনে নিয়ে যায়। এই সবজি তিন হাত বদল হয়ে ভোক্তাদের  কাছে পৌঁছায়। এই অঞ্জলে সব রকমে সবজি নিয়ে বিরাট কর্মযজ্ঞ চলে। বগুড়ার মহাস্থান হাট ভরে ওঠে সবজিতে। 

তিনি আরও জানান, হাটে তারা ফসল তোলার শুরুতে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করে। উৎপাদন বেড়ে গেলে হাটে-বাজারে যোগান বেড়ে গেলে দাম কমে আসে। তখন তারা পাইকারি বিক্রি করে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে নেমে আসে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। করোল্লা ক্ষেত থেকে তোলার পর এক মাসের মধ্যে তারা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখে। 
কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, করোল্লা উৎপাদনে গোবর, সার, খৈল, ইউলিয়ার, পটাশ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এই জমিতে শীতকালীন ফসল আলু চাষ করতে তাদের বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না। করোলা চাষে যে সার প্রয়োগ করে তার সঙ্গে সামান্য কিছু সার দিয়ে আলু উৎপাদন হয়ে যায়। তাই আলু উৎপাদনে তারা আরও লাভবান হয়ে থাকে। আলু চাষে তাদের শুধু ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান, বছরের রবি ও খরিপ দুই মৌসুমে করোল্লা উৎপাদন হয়ে থাকে। অঞ্চলভেদে জমিতে ৬৫ থেকে ৭০ মণ করোল্লা পেয়ে থাকে  কৃষক। করোল্লা উঠা শেষ হলে তারা এই জমিতে স্বল্প খরচে আলু উৎপাদন করে থাকে। তখন তাদের জমিতে বেশি সার দিতে হয় না। আলু চাষেও কৃষকরা লাভবান হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এবার বগুড়ায় ১১০০ হেক্টর জমিতে করোলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষক বেশি জমিতে করোল্লা, উচ্ছে চাষ করে থাকে। এবার রবি মৌসুমে ৫৩৪ হেক্টর ও খরিপ মৌমুমে ৫৫৬ হেক্টর জমিতে করোল্লা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  করোল্লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। 

তিনি আরও জানান, বড় বড় (লম্বা) করোল্লার চেয়ে উচ্ছের দাম বেশি। কারণ এর চাহিদা বেশি।

-এমএ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,