For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

'মালিকানার লভ্যাংশ ও প্রতিহিংসার কারণেই অধ্যক্ষকে হত্যা'

Published : Monday, 9 August, 2021 at 3:20 PM Count : 166

মালিকানার লভ্যাংশ ও প্রতিহিংসার বষবর্তী হয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তারই অংশীদাররা। 

সোমবার দুপুরে খন্ডিত লাশ উদ্ধারের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোতালেব, রবিউল এবং তার ভাগিনা বাদশা মিয়া। 

তাদের মধ্যে বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে এবং মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে রবিউলকে আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। 
খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার কলেজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। তিনি অনেক ভালো কোচিং করাতেন বলে রবিউলের সঙ্গে মনমালিন্য ছিল। এরই জেরে মিন্টু চন্দ্র বর্মনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার লভ্যাংশ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। 

তিনি বলেন, মোতালেব, রবিউল ও তার ভাগিনা বাদশা মিলে মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে হত্যা এবং লাশ গুমের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৩ জুলাই রাতে কোচিং শেষে মিন্টু চন্দ্র বর্মনকে প্রতিষ্ঠানটির ১০৬ নম্বর কক্ষে ডেকে যায়। সেখানে প্রথমে হাতুরি দিয়ে মিন্টু চন্দ্র বর্মনের মাথায় আঘাত করে বাদশা। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহটি ছয় টুকরা করে তারা। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচটি টুকরো প্রতিষ্ঠানের সামনেই মাটি চাপা দিয়ে রাখে এবং তার খন্ডিত মস্তকটি একটি পলিথিনে পেঁচিয়ে রাজধানীর আশকোনা নর্দ্দা এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। মস্তকটি উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সিড়ির নিচে লুকিয়ে রাখা দা, শাবল, কোদাল, সিমেন্ট, বালু, তাদের পরিহিত গেঞ্জি এবং জিন্সের প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল মৃতদেহটি পুতে রাখার পর জায়গাটি প্লাষ্টার করে রাখবে এবং খন্ডিত মৃতদেহের অংশ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেবে। এরই অংশ হিসেবে নিহতের মস্তকটি রাজধানীর আশকোনা এলাকায় নিয়ে ফেলা হয়। মৃতদেহটি উদ্ধারের সময় থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেছেন। 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মিন্টু চন্দ্র বর্মন নিখোঁজের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও বিষয়টির ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে নিখোঁজের ২৭ দিন পর সোমবার মধ্য রাতে প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার রবিউলকে শনাক্ত করি এবং রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। রবিউলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা এলাকা থেকে এবং বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

-ওএফ/এমএ

নিখোঁজ কলেজ অধ্যক্ষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,