শ্রীনগরে ভাতার টাকা নিয়ে ডিজিটাল প্রতারণা

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হচ্ছে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা ভোগীরা। একাউন্টে টাকা না আশা ও একাউন্ট থেকে টাকা চুরির অভিযোগ করছে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ভাতাভোগীরা।

জানা গেছে, কুকুটিয়া ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০০ জন প্রতিবন্ধী, বিধবা, বৃদ্ধ ভাতা ভূগীদের একাউন্টে টাকা যায়নি। আবার অনেকের একাউন্টে টাকা গেলেও তা একাউন্ট থেকে আবার উধাও হয়ে গেছে। ভাতা নিয়ে সমাধান খুঁজতে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
এবিষয়ে বুধবার শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মৃত আবুল হাসেমের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার নগদ একাউন্টে বৃদ্ধ  ভাতা মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকা জমা হয়। আমি গত মঙ্গলবার এই টাকা তুলতে গেলে দেখি একাউন্টে কোন টাকা নেই। আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করি।

ভুক্তভুগী মৃত শুকুর মোহাম্মদের ছেলে আলী মোর্তাজা(৭০) বলেন, নগদ একাউন্টে গত ৯ মাসে সড়ে ৪ হাজার টাকা আসে। আমি এই টাকা তুলতে গেলে দেখি আমার একাউন্টে কোন টাকা নেই। আগে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতাম সেখানে কোন সমস্যা হয়নি। একাউন্ট থেকে কিভাবে টাকা চলে গেলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।

৯ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মুকলেছুর রহমান বলেন, আগে ভাতা সুবিধা পাওয়া অনেকেই এখন বাদ পরেছে। আমার ওয়ার্ডের ৮ জনের মতো আছে যারা আগে ভাতা পেত এখন ভাতা পায় না।

ইউনিয়ন ইউনিয়ন কাউন্সিলের সচিব পারভেজ দেওয়ান বলেন, আমাদের ইউনিয়নে পরিষদের  প্রয়া ৩০০ জন ভাতার টাকা প্রাপ্তি নিয়ে সমস্যায় পরেছেন। কিছু লোক অভিযোগ করেছে তাদের টাকা অন্য নাম্বারে ঢুকেছে। এবিষয়ে সমাজসেবা অফিসে জানানো হয়েছে তারা বলেছে সমাধান করে দিবে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসে দুপুর ১টায় গিয়ে দেখা যায় অফিস বন্ধ। সেখানে তালা ঝুলছে। পরে একাধিক বার তাদের মুঠোফোন কল দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেয়।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেদায়েতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এইচআইএল/এসআর