ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও সদর উপজেলার ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
তবে অন্যান্য উপজেলাগুলোর তুলনায় সদর উপজেলাতে আক্রান্তের হার বেশি। এর মধ্যে ভোলা পৌরসভা এলাকাতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে।
বুধবার সিভিল সার্জন দপ্তরের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২ জন। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৫১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩২ জনই সদর উপজেলার। উপজেলায় আক্রান্তের ৫১ শতাংশ এরং জেলার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭ জন ভোলা পৌরসভার বাসিন্দা।
এর মধ্যে পৌরসভার ওয়েস্টার্ন পাড়ায় ১৫ জন, পৌর কাঠালীতে আট, সদর রোড তিন, কালীনাথ রায়ের বাজারে ছয়, চরনোয়াবাদে ছয়, উকিলপাড়ায় আট, অফিসারপাড়ায় পাঁচ, স্টেডিয়াম সড়কে দুই, কালীবাড়ি রোডে চার, মুসলিমপাড়ায় চার, পুলিশ লাইনে এক, যুগীরঘোলে তিন, পৌর বাপ্তায় চার ও গাজিপুর রোডে দু'জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া, সদর উপজেলার আালীনগর, ইলিশা, বাপ্তা, দিঘলদী, শিবপুর ইউনিয়নে শনাক্তের হার বেশি রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও 'উপসর্গ' নিয়ে আরও তিন নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চন্দ্র প্রসাদ গ্ৰামের আবদুল রম মিয়াজী (৭২), তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জের লিজা (৩৫), মনপুরা উপজেলার চরজোতিনের শিরিন (৫৬) করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের রেখা বেগম উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
বুধবার সকালে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সিরাজ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫ জনে। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলার বাইরে ও 'উপসর্গ' নিয়ে আরও অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৪০৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৭৪ জন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২০ হাজার ৬৩৩ জনের।
এছাড়া, ভোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এ পর্যন্ত এক হাজার ৩৪৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ২৭১ জন। বর্তমানে সেখানে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও অন্তত ২০০ জনকে ঢাকা-বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে।
-এএম/এমএ