For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য

Published : Monday, 19 July, 2021 at 1:49 PM Count : 920

পটুয়াখালীদশমিনায় ওপি (Open Pollinated) জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক রিপন মন্ডল। সুস্বাদু এই তরমুজ বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। 

তার থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকরা। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের রিপতি মন্ডলের ছেলে রিপন মন্ডলের (৪০) ক্ষেতে সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলে আছে কালচে ও হালকা সবুজ রঙের বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ জাতের ছোট বড় অসংখ্য তরমুজ। 

উপজেলায় এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ তরমুজ দেখতে ক্ষেতে ভিড় করছেন উপজেলা সদর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনসহ গ্রামবাসী। একইসঙ্গে নিচ্ছেন চাষাবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ। 
চাষি রিপন মন্ডল বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন তাকে এ তরমুজ চাষে উৎসাহিত করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ।দুমকি উপজেলার লেবুখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে চারা সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জমি প্রস্তুত করে চলতি বাংলা বর্ষের ২০ জ্যৈষ্ঠ চারা রোপণ করেন। 

তিনি বলেন, কচি ডগা থেকে লতা বেড়ে ওঠা পর্যন্ত কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই সেক্স ফেরোমিন পদ্ধতিতে বালাই দমন করা হয়। রোপণ থেকে ফল পাকা পর্যন্ত ৬৫ থেকে ৭০ দিন লাগতে পারে। তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে এই দুই জাতের তরমুজ উৎপাদন করছেন। যার একটি ভেতরের অংশ লাল ও অপরটির ভিতরের অংশ হলুদ। বর্তমানে তার ক্ষেতে উভয় জাতের ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক তরমুজ রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, শতাংশ প্রতি এ তরমুজ উৎপাদনে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রয় বিক্রয়ের অনুকূল পরিবেশ ও সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আর কয়েক দিন পরই তরমুজ বিক্রি করে তিনি মোট বিনিয়োগের প্রায় চার গুন লাভ করতে পারব।
 
একই ভাবে ওই দুই প্রজাতির তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন উপজেলার রণগোপালদী গ্রামের শাহ আলম, কাটাখালী গ্রামের কামাল আকন ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের হিরন। 

সরেজমিনে রিপন মন্ডলের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, কচি লতানো গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে মাচায় ঝুঁলে আছে কালচে ও হালকা সবুজ রঙের ছোট বড় অসংখ্য তরমুজ। প্রতিটি তরমুজের ওজন হবে প্রায় এক থেকে তিন কেজি। তরমুজগুলো যাতে বোঁটা থেকে ছিড়ে না যায় সে জন্য তরমুজগুলোকে বিভিন্ন রঙের জালি ব্যাগের মধ্যে রেখে মাঁচার সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই দুই প্রজাতির প্রতিটি তরমুজ পাঁচ থেকে সাত কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা থাকায় আমি এ তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা যোগানোসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। 

পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ অবজারভারকে বলেন, প্রচুর সম্ভাবনাময় গ্রীষ্মকালীন এ দুটি তরমুজের জাত উৎপাদনের সূচনা হয়েছে এ অঞ্চলে। যা দশমিনার কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।  

-এসটি/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,