মাস্ক পরতে অনীহা
Published : Monday, 12 July, 2021 at 10:43 AM Count : 137
সারা বিশ্বে আজ করোনা ভীতি। অথচ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার গ্রামীণ জনপদের মানুষের মনে কোন ভীতি নেই। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা স্বাস্থ্যবিধিও মানতে নারাজ তারা।
কেউ কেউ মাস্ক পরলেও তার ধরণ আলাদা আলাদা। করোনা নিয়েও তাদের ভিন্ন মতের শেষ নেই। এ অবস্থায় ঢিলেঢালা প্রশাসনিক পদক্ষেপে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন চিকিৎসকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা-উপজেলা শহর থেকে শুরু করে হাট-বাজার, শপিংমল, হোটেল-রেঁস্তোরা কোথাও করোনা ভীতি নেই। গ্রামীণ জনপদের মানুষরা মাঠের কাজ শেষে সন্ধ্যায় আয়েশ করে চা পান ও খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন। কারো মুখে মাস্ক নেই। আবার কারো থাকলেও তা কানে ঝোলানো। কেউ কেউ থুতনীতে স্টাইল করে ঝুলিয়ে রেখেছেন একান্ত দায় এড়ানোর জন্য।
স্থানীয়রা জানান, ০৭ জুলাই পর থেকে চরফ্যাশন উপজেলার প্রায় ৬১টি হাট-বাজারে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার জন্য কোন প্রকার কার্যক্রম নজরে পড়ার মত নেই। ফলে মানুষের মাঝে আবারও সেই আগের অবস্থা বিরাজ করছে। কেনাকাটা ও চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।
উপজেলার আনজুরহাট বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব কবির জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরী। করোনার টিকা নিলেও তা মানতে হবে। মাস্ক পরলে করোনার সংক্রমণ একেবারই কমে যাবে। অথচ জনগণ মানছেন না। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এখনই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনিরুজামান জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেউ নিজের থেকে সচেতন না হলে জোর করে কতটুকু সম্ভব?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহলামিন জানান, ইতোমধ্যে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও করা হয়েছে। প্রশাসন সব সময় তৎপর। প্রশাসনিক তৎপরতা নেই এমন কথার কোন ভিত্তি নেই।
-এসএফ/এমএ