নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
Published : Sunday, 11 July, 2021 at 1:52 PM Count : 168
সারাদেশের পুরাতন খাদ্যগুদাম ও আনুসাঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বরগুনার বেতাগী খাদ্যগুদামের সংরক্ষিত এলাকায় উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির স্মাক্ষরিত ২০১৯ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারি ১১৩ নম্বর স্মারকে ‘দেশের পুরাতন খাদ্যগুদাম ও আনুসাঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। খাদ্যগুদাম সংরক্ষিত এলাকায় ১০টি উন্নয়ন কাজের প্রতিটি প্যাকেজ নিধার্রণ করা হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এই দরপত্র আহ্বান করা হয়।
কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী বরগুনার বেতাগী খাদ্যগুদামের সংরক্ষিত এলাকায় উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দা কর্তৃক পরিচালিত ‘ডকইর্য়াড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক’ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় এক কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে।
বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন থানা সংলগ্ন এলাকায় খাদ্যগুদামের সংরক্ষিত এলাকায় রাস্তা মেরামত কাজে এলাকাবাসীর অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , রাস্তা মেরামত কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া ও সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্যগুদামে দরপত্রে রাস্তার মেরামত কাজে আরসিসি ঢালাইয়ের নিচে সিলিংয়ে ইট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।
নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে ম্যাগাডাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের খোয়ার সঙ্গে নিয়মানুযায়ী বালু মেশানো হয়নি। যার ফলে বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়েছে। এভাবে ওই খোয়ার ওপর রডগুলো গুনা দিয়ে কোন রকম দায়সারা ভাবে বাঁধা হলেও বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় পলিথিন পেপারের ওপর বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধের মধ্যে শনিবার দুপুরে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ কারণে এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
খাদ্যগুদামের এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তি জানান,‘ সরাসরি নৌ-বাহিনীর কর্তৃক পরিচালিত হলে কাজের মান অনেক ভালো হতো।’
এ বিষয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দায়িত্বে থাকা বরিশাল জেলা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘এক কোটি ৬৮ লাখ টাকার প্যাকেজে ওয়াল, মেইনগেট, ড্রইং ইয়ার্ড, অফিস কক্ষ, বাউন্ডারি ওয়াল, এক হাজার মে. টন খাদ্যশষ্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ও পাঁচশ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দুটি গুদাম, উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শকের কক্ষ একটি ও অফিস কাম কোয়ার্টারের কাজ রয়েছে এবং বরাদ্দের টাকা ফাঁকি দেওয়া হবে না। সিডিউল মোতাকেব কাজ করা হবে।’
দায়িত্বে থাকা খাদ্য বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফনিভূষণ দেবনাথ বলেন, ‘দরপত্রের সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হবে এবং কাজে কোন অনিয়ম হবে না।’
-এসকে/এমএ