রূপগঞ্জের ঘটনায় নিখোঁজ চরফ্যাশনের চার শ্রমিক
Published : Sunday, 11 July, 2021 at 12:51 PM Count : 188
চার জনই ঘটনার দিন কারখানার চতুর্থ তলায় কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
ওই দুর্ঘটনার পর থেকে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। সে দিন তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তাও জানে না নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বেঁচে আছেন কি না তাও জানা নেই উপজেলা প্রশাসনের। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টির সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছে।
তারা হলেন- উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনাবাদ গ্রামের ফজুলের ছেলে হাসনাইন (১২), একই বাড়ির কবিরের ছেলে রাকিব (২৮), এওয়াহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নানের ছেলে নোমান ও চরফ্যাশনের ওমরপুরের গোলাম হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন।
তাদের মধ্যে হাসনাইন এবং রাকিব সেমাই প্যাকেটজাতকরণের কাজ করতো।
তবে আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স জানান, রাকিব ও হাসনাইন মারা গেছে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা তখন (দুর্ঘটনার দিন) কারখানার চতুর্থতলায় কাজ করছিলেন।
নিখোঁজ হাসনাইনের বাবা ফজলু মোবাইল ফোনে বলেন, তার ছেলে (হাসনাইন) ওই ফ্যাক্টরিতে কারিগর রাকিবের সহকারী হিসেবে চতুর্থতলায় কাজ করতো। দুর্ঘটনার দিনও তারা কারখানায় অবস্থান করেছিলো।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, গত বুধবার ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়েছিলো। সে বলেছিলো (হাসনাইন) বাবা ছয় দিন পরেই বাড়িতে চলে আসবো। কিন্তু আমি তাকে (হাসনাইকে) বলেছি লকডাউনের মধ্যে আসার দরকার নেই, তুমি তোমার মামার বাড়িতে থাকো। আমি সেখানে ফোন করে দেব। এরপর আর ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি। আমার একমাত্র ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। ছেলে তো আর ফিরে এলো না। আমি এখন কি নিয়ে থাকবো। আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা তিন জনের নাম ঠিকানা পেয়েছি। তারা সবাই চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা এবং দুর্ঘটনা কবলিত কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তবে তাদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমরা ঢাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
-এসএফ/এমএ