For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

এক মাস পার না হতেই ঘরে ফাটল, খসে পড়ছে পলেস্তারা

Published : Saturday, 10 July, 2021 at 11:57 AM Count : 229

ব্রাহ্মণবাড়িয়ানবীনগরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল ধরেছে।

ভূমিহীনদের নামে দুই শতাংশ খাস জমি বরাদ্দ থেকে শুরু করে ঘর নির্মাণ কাজের প্রতিটি ধাপে অনিয়ম ও নিম্নমানের দ্রব্যাদি ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে। ঘরের একাধিক স্হানে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০- ২১ অর্থবছরে অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন কাজের দেখভাল করছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখে যায়, উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের দেয়াল ও পিলারে বালুর সঙ্গে মেশানো হয়নি পরিমাণ মতো সিমেন্ট। হয়েছে নিম্নমানের ঢালাই। নির্মাণের কিছু দিন না যেতেই ভেঙে পড়েছে ঘরের দেয়াল। আর ফেটে ফেটে উঠে যাচ্ছে ফ্লোর।
শুক্রবার ঠিকাদার মাহাবুব আলম লিটনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে কোন রকম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যদি কেউ নিম্নমানের দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ঘর নির্মাণ করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে তাহলে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তৈরিকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালু, কাঠ, টিন ও প্রয়োজনের তুলনায় সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে দেয়াল থেকে আস্তর ধসে পড়ছে। আর ফেটে ফেটে উঠে যাচ্ছে ফ্লোর। ভেঙে পড়ছে দেয়াল ও পিলার। নির্মাণকৃত ঘর কোনটা উঁচু কোনটা আবার নিচু। মনে হচ্ছে নিচু ঘরে ইট কম ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েও বিপদের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ২০টি ঘরের যে যে স্থানে সমস্যা হয়েছে আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে ঠিক করে দেয়া হবে।

-ডিএইচ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,