সভাপতির দখলে বিদ্যালয়ের জমি, রাস্তা কেটে ভবন নির্মাণ
Published : Tuesday, 6 July, 2021 at 11:41 AM Count : 120
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের বাজেমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের জমি দখল করায় নতুন ভবনের বেজমেন্ট নির্মাণের জন্য একটি হেড়িংবন সড়ক কাটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত লিপি আক্তার ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
অবশ্য তিনি জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের জমিতেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি কেশবপুর ইউনিয়নের বাজেমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি শ্রেণী কক্ষ বিশিষ্ট নতুন ভবনের বেজমেন্ট নির্মাণের জন্য বেড কাটার সময় বিপত্তি দেখা দেয়। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিদ্যালয়ের জমি মা[আর করার উদ্যোগ নেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সহায়তায় একজন সার্ভেয়ার নিয়ে জমি মাপেন।
তখন দেখা যায় বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লিপি আক্তার টয়লেট নির্মাণ করেছেন। তাকে একাধিকবার টয়লেট ভাঙার নির্দেশ দিলেও ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে তা কর্ণপাত করছেন না।
স্থানীয় আকতারুজ্জামান বাদল নামের এক ব্যক্তি বলেন, লিপি আক্তার বিদ্যালয়ের জমি দখল করায় ঠিকাদার সরকারি হেড়িংবন সড়ক কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। নতুন ভবন নির্মাণের পর সড়কটি সংকুচিত হলে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হবেন।
বিশেষ করে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিয়ত কাজের জন্য আসা মানুষ ভোগান্তির কবলে পড়বেন। হেড়িংবন সড়কটি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কালাইয়া- নাজিরপুর-কেশবপুর-ধুলিয়া ইউনিয়ন কানেকটিং সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, বিল্ডিং কোড মেনেই ভবন নির্মাণ করতে হবে। সরকারি হেড়িংবন সড়ক কাটার বিষয় পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি রিপন বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তারা লেআউট দেয়ার পর আমি নির্দিষ্ট স্থানে কাজ শুরু করেছি। কাজের সুবিধার্থে স্বল্প সময়ের জন্য সড়ক থেকে ইট তুলে রেখেছি। বেজমেন্টের কাজ শেষ হলেই ফের সড়কটি ঠিক করে দেয়া হবে।
লিপি আক্তার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের জমি দখল করিনি। নির্দিষ্ট জায়গায়ই নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখলের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-এএস/এমএ