নারী পাচারের হোতা টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক তার সহযোগীদের নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও পথচারীদের আটকে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতো। তারা প্রত্যেকেই হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
র্যাব জানায়, রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ ৫ জনকে আটক করে র্যাব-৩।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, একটি চেইন, ৩০০ পিস ইযাবা, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা উদ্বার করা হয়।
আটক বাকি আসামিরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে এ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), মো. সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরা (২২)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, লকডাউনকে পুঁজি করে ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিলেন অনিক হাসান ওরফে অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হিরো অনিককে তার সহযোগীরা ইয়াবা হোম ডেলিভারি করতে সহায়তা করতেন।
র্যাবের মিডিয়া উইয়ের পরিচালক বলেন, ভারতের নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া টিকটক হৃদয় বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয় বাবুকে বিভিন্ন সময় তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও হৃদয় বাবুকে তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন বলেও জানায় গ্রেপ্তার অনিক।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হিরো অনিক ২০১৬ সালে আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পরিচিতি পায় ৷ তিনি মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা, পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান, ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদকের কারবার করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আটক হিরোর নামে হত্যা মামলা, মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। কিশোর অবস্থায় থাকা সময়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হন তিনি।
হিরো অনিক সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এসআর