১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই লাশ
Published : Friday, 25 June, 2021 at 6:20 PM Count : 117
পাবনার ঈশ্বরদীতে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে এক প্রতিবন্ধী যুবক ও এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবন্ধী যুবক ও আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিকল্পিতভাবে পাখি খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে খাবারের সঙ্গে কৌশলে বিষ মিশিয়ে তারই সতীন রূপা খাতুন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় পুলিশ নিহত পাখি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও সতীন রূপা খাতুনকে হত্যার সন্দেহে আটক করে পুলিশ।
শহরের পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাখি খাতুনের বাবা আলতাব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জাহিদুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তার মেয়ে পাখিকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার কৌশলে আমার মেয়েকে তার সতীন রূপা খাতুন (২৫) বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাকশীতে নিয়ে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ পাখি খাতুনের স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রূপা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পৃথক ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক চাপা ইসলামকে (২৮) ওই গ্রামের মানিক সরদারের বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছামেলা খাতুন ও তার বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার চেষ্টাকালে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন ও সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ রহিদুল্লা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত চাপা ইসলাম ও অভিযুক্ত ছামেলা খাতুনের বাবার বাড়ি চাটমোহরে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় ছামেলা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার শরীর রক্তে ভেজা ছিল। আটক ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
-কেএম/এনএন