কারখানার বিষাক্ত পানিতে পুকুরে মাছের মড়ক
Published : Friday, 25 June, 2021 at 5:42 PM Count : 493
ঢাকার আশুলিয়ায় কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে ১০ বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগী মৎস্য খামারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির কলেজপাড়া কলাবাগানের দক্ষিণ পাশের পুকুরে মাছের এ মড়ক দেখা দেয়।
পুকুরটির মালিক রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ও তার ছোট ভাই মালেক ১০ বিঘা আয়তনের ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। বিগত ছয় মাস আগে রুই, কাতল, সিলভার কার্প, তেলাপিয়া, বাটা, পুঁটি ও বিভিন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছসহ প্রায় ৫০ মণ মাছের পোনা ছেড়েছিলেন। ওই পোনা এখন ছয় মাস পরে প্রায় কোনটা এক কেজি আবার কোনটা হাফ কেজিসহ নানা সাইজের প্রায় একশ মনের মত হবে। কিন্তু গতকাল রাতে তার পুকুরের পাশে মার্স ওয়াস এন্ড ডেনিং লিমিটেড নামের একটি কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য পানি ছেড়ে দেয়। সেই পানি সরাসরি পুকুরে পড়ার কারণে সকাল থেকেই পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিষয়টি তাকে জানায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে তার প্রায় ৭/৮ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে মার্স ওয়াস এন্ড ডেনিং লিমিটেড কারখানার প্রকৌশলী রুস্তম আলী মন্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। পানি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। তবে তিনি দাবি করেন তার কারখানার পানি থেকে মাছ মরেনি। আর মানুষ একজনের উপরে দোষ চাপাতে পারলেই বাঁচে।
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা পুকুরের পানি পরীক্ষা করে দেখতে পারি। পুকুরের পানির যদি এ্যামোনিয়া গ্যাস বেড়ে যায়, আমরা এই পানির প্যারামিটারগুলো দ্রবীভূত অক্সিজেন মাপার মত যন্ত্রগুলো আমাদের আছে। যদি কেমিক্যাল বিষক্রিয়ায় মাছ মারা যায় এটা পরীক্ষা করার মত ব্যবস্থা আমাদের নাই। তবে পানি এবং মাছ নিয়ে আসলে পরীক্ষা করেই বলা যাবে মাছ মরার কারণ কি। এছাড়া যদি কারখানার পানির কারণে কিছু হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
-এআই/এনএন