সংস্কারের অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ
Published : Saturday, 29 May, 2021 at 1:18 PM Count : 143
নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের অভাবে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না করায় এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না।
এর ফলে নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর হয়ে তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত এই রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। মির্জাপুর, হাতিয়াপাড়া, তারাটিয়া বড়ডাঙ্গা, ছোটডাঙ্গা, উচলকাশিমপুর ও ঝনঝনিয়াসহ বেশ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকেন। বিশেষ করে তারাটিয়া ছোটডাঙ্গাতে একটি বাজার গড়ে উঠায় প্রতিদিন সকাল বিকেল শত শত মানুষ এ রাস্তা দিয়ে ওই বাজারে যাতায়াত করে থাকেন।
এদিকে, ওইসব গ্রামের লোকজনের মির্জাপুর হয়ে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। বিভিন্ন দিকে থেকে রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় হাটু পানি জমে যায়। এছাড়াও রাস্তার সর্বত্র কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন বা মালবাহী ভ্যানও চলাচল করতে পারে না। এমনকি পয়ে হেঁটে চলাচলও সম্ভব হয় না। কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ওই এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে না পারায় পানির দামে তাদের ধান ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে হয়।
ঝনঝনিয়া গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের চলাচলের এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতের জন্য একমাত্র রাস্তাটি যুগ যুগ ধরে বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। এ জন্য রিকশা-ভ্যানসহ কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না। রাস্তা সমস্যার কারণে আমাদের ধান ও কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
হাতিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এ রাস্তার বেহাল দশা হলেও কেউ নজর দেন না। রাস্তা সমস্যার কারণে অসুস্থ্য রোগীদেরকেও আমরা যথা সময়ে হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে পারি না। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে দ্রুত মির্জাপুর থেকে ছোটডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
শাহাগোলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, রাস্তাটিতে আগে ইটের সোলিং করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানের ইটগুলো উঠে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটি আবারও সংস্কার করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. পারভেজ নেওয়াজ খাঁন বলেন, এই রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্পের আওতায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যে প্রকল্পে যত দ্রুত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটির পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
-এমএ