তালতলীতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি
Published : Wednesday, 26 May, 2021 at 4:09 PM Count : 295
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা ও আন্ধার মানিক নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচটি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
পচাকোরালিয়া, ছোটবগী, বড়বগী, নিশান বাড়িয়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে ১৪টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেড়ের মাছ। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের।
বুধবার সকাল ৮টায় উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জোয়ার শুরু হয়ে চলে এক টানা বেলা ১২টা পর্যন্ত। এ সময় উপজেলার আশপাশের নদ-নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ওই সব এলাকার ভাঙ্গণ কবলিত বাসিন্দারা।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খোট্টার চর, বড়অঙ্কুজানপাড়া, ছোটভাইজোড়া, তেতুলবাড়িয়া, নিশান বাড়িয়া, নলবুনিয়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে বাড়িঘর, দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেরই দুপুরের রান্না হয়নি। বেড়িবাঁধের বাইরে ঘরবাড়িতে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংঙ্কট। লবন পানিতে দেখা দিতে পারে পানিবাহিত রোগ। তীরের বাঁধের একটা অংশ ভেঙ্গে নদীর লবন পানি ঢুকে বাড়ির আঙিনাসহ তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। চাষিদের ফসলের চরম ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা একটি সরকারি আবাসন এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেলে ওখানকার মানুষদের সড়িয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিচ্ছে সিপিপি সদস্যরা। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সোনাকাটা এলাকার বেলাল হোসেন ফারাবী বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এ এলাকার নিম্ন স্থানগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পড়েছে খাবার পানির সংস্কট। শঙ্কা রয়েছে পানিবাহিত রোগের। এখানকার প্রায় ১০-১২টি গ্রামের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে তাদের দুপুরের রান্না হয়নি। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
ছোটভাইজোড়া আবাসন এলাকার মল্লিক মো. জামাল বলেন, জোয়ারের পানিতে এই এলাকা অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টিউবওয়েল পানিতে ডুবে যাওয়ায় খাবার পানি সংঙ্কট দেখা দিয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওসার হোসেন বলেন, যারা পানিবন্দি রয়েছেন তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুত তাদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও করা হবে। রাতের জন্য প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে খিচুরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
-এইচএম/এমএ