For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

শিক্ষকদের চাপে শিক্ষার্থীরা বিপাকে

Published : Tuesday, 25 May, 2021 at 12:52 PM Count : 189

শিক্ষকদের ভুলে বিপাকে পড়েছে ভোলাচরফ্যাশন উপজেলার হাজার, হাজার শিক্ষার্থী। দেশের তিন কোটির অধিক শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি কার্ড (একক পরিচয়পত্র) দিতে যাচ্ছে সরকার। 

প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে ইউনিক আইডিতে। যা পরবর্তীতে হবে ওই শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। 

আর এ ইউনিক আইডির জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশনায় উপজেলার সকল শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডির প্রোফাইল প্রণয়নে পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন, শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, রক্তের গ্রুপসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র জমা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা নেয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুল সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে হাজার, হাজার শিক্ষার্থী। 
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে- শিক্ষার্থীরা রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা ও রিপোর্ট নেয়ার জন্য দলাদলি করে হুমরি খেয়ে পড়ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও সরকারের নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার করার জন্য একটি সরকারের নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল থেকেই ভিড় জমায়। 

একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নির্দেশে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার জন্য সরকারের নিবন্ধনহীন ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভিড় করেছে এসব শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্যবিধি বা কোন রকমের শৃঙ্খলাও ছিল না ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও। 

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষকরা দুই দিনের মধ্যে রক্তের গ্রুপের রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিলে পরবর্তীতে কাগজপত্র জমা নেয়া হবে না বা স্কুলে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা সরকারের নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিড় জমিয়েছেন।

এসব শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজারীগঞ্জ ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা, চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। 

এ বিষয়ে ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মামুন হোসেন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুই দিনের মধ্যে কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়ার বক্তব্যটি সঠিক নয়। 

সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত (১১ থেকে ১৭ বছর) প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে এই ইউনিক আইডি। 

উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার খলিলুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে শিক্ষার্থীদের সকল ডাটা সংরক্ষণে রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও নির্দিষ্ট কোন তারিখ দেয়া হয়নি। খুব শীগ্রই যে সকল প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং এর মাধ্যমে উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির তথ্য সাবমিট করা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা দেয়া নেই। শিক্ষার্থীদের কোন রকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে যেন পড়তে না হয় এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হবে।  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে এ জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

-এসএফ/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,