নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর লাশ মিলল ঢামেক মর্গে
Published : Sunday, 23 May, 2021 at 11:30 PM Count : 145
নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ। গত ১৫ মে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের নিখোঁজ শিক্ষার্থী হাফিজের লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে। লাশটি তার বড় ভাই ও বন্ধুরা শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত।
রোববার সন্ধ্যায় হাফিজুরের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসে তার লাশ শনাক্ত করেছেন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পেছনে পাওয়া যায় হাফিজুরের লাশ। সেখান থেকে ঢামেকের মর্গে রাখা হয়। পরে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে লাশ শনাক্ত করেছে তার পরিবার।
শাহবাগ খানার ওসি (তদন্ত) আরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা একটি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে পাই। পরিচয় জানতে না পেরে লাশটি আমরা মর্গে রাখি। হাফিজের বড় ভাই লাশটি শনাক্ত করেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। সে দা দিয়ে নিজের গলায় নিজে আঘাত করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হতে পারব। তদন্তের কাজ শুরু করেছি।
হাফিজুর ঢাবির তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি একজন মূকাভিনয় শিল্পী ও ঢাবির মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত ১৫ মে ঈদুল ফিতরের পরদিন দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন হাফিজুর। কার্জন হল এলাকায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ৮-৯টার দিকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন বলে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নেন। এরপর হাফিজের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
হাফিজুরের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছিলেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ। গত ১৫ মে দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শাওন মাহমুদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ হাফিজুর রহমান ঈদুল ফিতরের পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডা দেন। তার মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কার্জন হলের সামনে বসে মোবাইলে কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ।
হাফিজুরের বন্ধুদের বরাতে সেদিন তিনি আরও জানান, বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরে ওইদিনই রাত ৮-৯টার দিকে হাফিজুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন। এরপর আট দিন হতে চলল, শত চেষ্টা করেও কোনোভাবেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিজের এলাকায় জিডি করা হয়েছে, শাহবাগ থানায়ও ইনফর্ম করা হয়েছে।
-এনএন