ভাঙনের কবলে দেশের বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামার
Published : Sunday, 23 May, 2021 at 5:06 PM Count : 770
অব্যাহত ভাঙনের কবলে গত ৪ বছরে খামারটির ২৮০ একর জমি তেঁতুলিয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পুরো খামারটিই যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
জানা যায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য চাহিদানুযায়ী ভিত্তি বীজের উৎপাদন বাড়াতে ও কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরবাঁশবাড়ীয়া এলাকায় ১০৪৪.৩৩ একর জমিতে খামারটি স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২৫০ কোটি টাকার চার বছরের এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। শুরু থেকে বীজ উৎপাদন খামারটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) প্রকল্প পরিচালকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার পর খামারটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের খামার ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। পরবর্তীতে খামারটির জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ অফিস ভবন, ৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম ভবন, শষ্য মাড়াইয়ের স্থান ও বীজ শুকানোর স্থানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়, যা সবই নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া নদী খামারটির উত্তর ও পশ্চিম দিক থেকে গ্রাস করেছে। খামারের ইটের রাস্তাটির অধিকাংশই ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং খামারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও খামারের বীজ উৎপাদন বাড়ছে। খামারের তথ্যানুযায়ী গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২৫৫.৭০ টন আমন ও ৩১১.৪০ টন বোরো বীজ উৎপাদিত হয়েছে, যেখানে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ১৮০.৯৬ টন আমন বীজ এবং ২২৯.৩৬ টন বোরো ও রবি শষ্য বীজ উৎপাদন হয়েছিল।
এর আগে খামারটিতে গম, আলু, সূর্য্যমুখী, মশুর, মুগ, ফেলন, সয়াবিন ও তীল বীজ উৎপাদন হতো। তবে বেড়িবাঁধ ও স্লুইজ গেট না থাকায় মৌসুমে অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে এসব বীজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
দশমিনা বীজ বর্ধন খামারের উপপরিচালক (ডিডি) শেখ ইকবাল আহমেদ জানান, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইতোমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।
-এসটিএনএন