ছিল রাস্তা এখন জলাবদ্ধ খাল
Published : Saturday, 22 May, 2021 at 11:54 AM Count : 203
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ঠিকাদারের ফেলে যাওয়া নির্মাণাধীন দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, কাজ শুরু করে রাস্তা থেকে মাটি কেটে দু'পাশে ফেলে রেখে বালু ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি প্রায় আড়াই মাস আগে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
এলাকাটি ঘুরে দেখা যায়, কাযার্দেশ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে দৈনন্দিন জীবনের কাজে উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতায়াত করে প্রায় এক হাজার মানুষ। ঠিকাদার রাস্তার মাঝের মাটি কেটে ৩-৪ ফুট গভীর করে বালু দিয়ে ভরাট না করেই কাজ বন্ধ করে দেয়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তাটি এখন জলাবদ্ধ খালের মত পরিণত হয়েছে। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে আছে রাস্তাটি।
স্থানীয়রা জানান, বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এটিই আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। আগে আমরা মাটির রাস্তা দিয়ে কষ্ট হলেও যাতায়াত করতে পারতাম এখন সেই উপায়ও নেই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মো. শহিদুল আলম জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার লোক দুটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতায়াত করে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ৩/৪ ফুট পানি জমে আছে। এলাকার লোকজনের চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দেলোয়ার হোসেন ট্রেডার্সের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজন বালু নিয়ে ঝামেলা করার কারণে কাজে দেরি হচ্ছে। তারা বালুর দাম বেশি চেয়েছে। এরপর আমি অন্য জায়গা থেকে বালু নেয়ার ব্যবস্থা করছি এবং শীঘ্রই কাজ শুরু করবো।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোহর আলী জানান, ঠিকাদার কাজ করতে চায় কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঠিকাদারকে জমির উপর দিয়ে বালুর পাইপ পর্যন্ত নিতে দিচ্ছে না। এ কারণে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
-টিএইচ/এমএ