পাঁচ মামলায় মামুনুলের ১৫ দিনের রিমান্ড
Published : Wednesday, 12 May, 2021 at 4:20 PM Count : 352
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ ও সহিংসতার চারটিসহ মোট পাঁচটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের তিন দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে ভার্চ্য়ুয়াল কোর্টে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান। মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন। এ সময় ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত ছিলেন আসামি মামুনুল হকও।
আদালত সূত্র জানায়, গত ০২ মে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে পুলিশ ও ডিবির পক্ষ থেকে সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার মামলায় ১০ দিন, রয়েল রিসোর্ট তাণ্ডবের মামলায় ৭ দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের মামলায় ৭ দিনসহ মোট ২৪ দিন রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত ০৯ মে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিনও মামুনুল হকের অন্য মামলার কার্যক্রম থাকায় রিমান্ড শুনানী ১২ মে নির্ধারণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণসহ তিন মামলার রিমান্ড আবেদন করার পর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা আরও দুটি সহিংসতার মামলায় রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এতে মোট ৫টি মামলায় ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানী হয়েছে। শুনানীতে মামুনুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ওমর ফারুক নয়ন। তিনি রিমান্ডের বিরোধীতা করে মামুনুল হকের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আমি রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেছি। আদালত শুনানী শেষে পাঁচ মামলায় তিন দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, প্রত্যেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যেহেতু ভিন্ন সেহেতু একজন করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুল হককে তিন দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পাবেন।
গত ৩০ এপ্রিল প্রলোভন, প্রতারণা, নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
মোদীবিরোধী আন্দোলনের নামে রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে বেপরোয়া তাণ্ডবের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডে মামুনুল হককে নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাণ্ডবের অভিযোগে একে একে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।
-আরএ/এমএ