মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বালাঘাট ব্রিজের কাজ
Published : Tuesday, 27 April, 2021 at 3:55 PM Count : 234
কার্যাদেশের মেয়াদ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার বালাঘাট ব্রিজের নির্মাণ কাজ আজও শেষ হয়নি। বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে এবারও চরম দুর্ভোগে পড়বে ১১ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ।
৬নং ওয়ার্ড কমিশনার জিয়াউর রহমান জানান, একুশ বছর আগে বানুর খামার-ফকিরের হাট সড়কে পৌরসভার গোদ্ধার, মোছলিয়া ও মেছনি বিলের সংযোগ স্থলে নির্মিত হয় বালাঘাট ব্রিজ। এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে উপজেলার কানিপাড়া, জোলাপাড়া, টাপুরচর, নেয়াখালীপাড়া, সাতানিপাড়া, হিন্দুপাড়া, মুন্সীটারী, পঞ্চায়েতপাড়া, ফকিকের হাট, নেওয়াশী, খরিবাড়ী গ্রামের মানুষ।
২০১৬ সালের বন্যায় ব্রিজটির একাংশ ভেঙে হেলে যায়। পরের বছরে বন্যার পানির তীব্র স্রোতে তা সম্পূর্ণ ভেঙে ভেসে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওই ১১ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে পায়ে হেটে যাতায়াত সম্ভব হলেও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বর্ষা এলেই আবারো তাদের অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন অবকাঠামো (২য় ধাপ) প্রকল্পের আওতায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে রংপুরের ঠিকাদার খাইরুল কবীর রানা। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪শ ৬৪ টাকা।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা এখনো শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে কাজটি শুরু না করলে কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। আর এ চিঠি প্রাপ্তির পরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছে। আশা করছি বর্ষার আগে তা শেষ হবে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দুর্ভোগ সঙ্গী করে পথ চলছেন তারা। এ অর্থ বছরেও কাজটি সম্পন্ন না হলে বর্ষা এলেই আবারো দুর্ভোগে পড়তে হবে তাদের।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর এরকম আটকে থাকা ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে। বর্ষার আগে কাজ শেষ না করলে এর কোন বিল দেয়া হবে না।
ঠিকাদার খাইরুল কবীর রানা জানান কাজটি স্থানীয় একজনকে দেয়া হয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে হয়তো তিনি কাজটি করতে পারেননি। তবে এখন কাজ শুরু করেছেন।
-কেএস/এনএন