তলিয়ে যেতে পারে হাওরের ধান
Published : Thursday, 22 April, 2021 at 3:46 PM Count : 143
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে এ সপ্তাহের শেষ দিকে প্রচণ্ড ঝড় ও শীলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কিশোরগঞ্জে জেলার হাওরের নিচু এলাকার আধাপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উদ্বিঘ্ন হাওরের কৃষকরা।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৪০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হবে। কিন্তু ১৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আসাম ও মেঘালয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুরসহ হাওরের কয়েকটি জেলায় সুরমা, কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে হাওরের নিচু এলাকার আধাপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ অবস্থায় হাওরের পাকা ধান দ্রুত কেটে ফেলতে জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগকে জানানো হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও আগাম বন্যা হবে না বলেও মনে করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।
অপরদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, অতিবৃষ্টিতে হাওরের নিচু জমিতে পানি উঠতে পারে। এ পরিস্থিতিতে হাওরের কৃষকদের নিচু জমির ধান ৮০ ভাগ পাকা হলেই দ্রুত কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পাওয়ার থ্রেসার ছাড়াও ১০৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ২০টি রিপার মেসিন দিয়ে হাওরের পাকা ধান কাটা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম জানান, হাওরে ধানকাটা পুরোপুরি শুরু হতে আরও দুই একদিন সময় লাগবে।
এদিকে ধান কাটার জন্য মৌসুমী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা থেকে শ্রমিকেরা বাসে করে কিশোরগঞ্জে আসছেন। তবে পথে পথে পুলিশি হয়রানির শিকারও হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম রেখা গত বুধবার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চামটা বন্দরে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য নেতাকর্মী নিয়ে ধান কেটে স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও ধান না কাটা পর্যন্ত ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও যুবলীগের কর্মীগণ পালা করে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন।
-এলআর/এনএন