বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আট মাসে ১১ জনের মৃত্যু
Published : Wednesday, 24 March, 2021 at 2:42 PM Count : 276
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ অগাষ্ট থেকে চলতি বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত এ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১১ জন প্রাণ হারায়।
নিহতরা হলেন, জুয়েল রানা (১৪), জহুরা বেগম (৫৪), শফিকুল ইসলাম (২৩), শম্পা রানী পাল (২০), ছামিউল ইসলাম (১৮), আব্দুল ছালাম (৪৫), আব্দুল মালেক উদ্দিন (৪৭), খোকন মিয়া (৩২), আশরাফুল ইসলাম (২৮), আল-আমিন (১২) ও আজিদুল ইসলামের ছেলে আলিমুল হক (৫)।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলর বিদ্যুৎ বিভাগকেই দায়ি করছেন। তাদের দাবি, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ ব্যবহারে ওপর জনসচেতনতাসহ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচার-প্রচারণা না থাকায় কিছু অসাধু গ্রাহক অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার ও নিম্নমানের ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎস্পৃষ্টের দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, শুধু নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করলে হবে না। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতিদিন মেইন লাইন চেক করা ও বিদ্যুতের লাইনের পাশে গাছপালা কেটে ফেলাসহ প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর গ্রাহকদের জনসচেতনামূলক পরামর্শ প্রদান করলে মৃত্যু হার কমবে বলে আমার বিশ্বাস।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা জানান, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারীর গ্রাহকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানাই। গত ১৭ মার্চ আমার এলাকায় অবৈধ সংযোগের কারণে দুই নিস্পাপ শিশুর মৃত্যু ঘটনায় এখনো দুই পরিবারে শোকের ছায়া বইছে।
কুড়িগ্রাম-লালমনিহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল জানান, কোন গ্রাহক যাতে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেচসহ বাসা-বাড়িতে ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি পাড়া মহল্লায় জনসচেতনামূলক মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাসহ উঠান বৈঠক অব্যাহত থাকবে।
-এসি/এমএ