রসুনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
Published : Tuesday, 9 March, 2021 at 1:14 PM Count : 334
রাজশাহীর পুঠিয়ায় রসুনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রসুনের গাছ ফেটে যাবার কারণে ফলন বিপর্যয় হতে পারে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিমত।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রসুন উৎপদনকারী এলাকা হিসেবে সুপরিচিত সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা বিল ও বানেশ্বর ইউনিয়নের শাহবাজপুর বিল। এই দুই বিলে রসুনের গাছগুলো ফেটে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা রসুনের ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস এর কোন প্রতিকার দিতে পারছে না বলে অনেকের অভিযোগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অতিমাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে রসুনের এ ধরনের রোগ হতে পারে। মাটিতে জৈব উপাদানের পরিমাণ ৫ শতাংশ থাকার কথা কিন্তু কেমিক্যাল সার অতিমাত্রায় প্রয়োগের ফলে মাটির এ জৈব ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। রসুন চাষের জন্য বিঘা প্রতি ইউরিয়া ২৯ কেজি, টিএসপি ৩৬ কেজি, এমওপি ৪৪ কেজি, জৈব সার ৬৬৭ কেজি ও খৈল ৬৬৭ কেজি প্রয়োগের কথা থাকলেও এর মধ্যে কেমিক্যাল সারের প্রয়োগ বেশি হয়ে থাকে। ফলে যে কোন ফলস উৎপাদনে মাটির জৈব উপাদানের পরিমাণ কমে গেল ফলন বিপর্যয় হতে পারে।
এবারে পুঠিয়া উপজেলায় রসুনের চাষ হয়েছে দুই হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৮০ টন। গতবারের চেয়ে এক হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে বেশি রসুন চাষ হচ্ছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামের রসুন চাষি বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর প্রায় দেড় বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রসুন উঠতে শুরু করবে। এ সময় রসুন ফেটে ঝাটার মতো গাছ বের হচ্ছে। কিছুতেই এর কোন প্রতিকার করতে পারছি না। এ অবস্থায় আমাদের রসুনের খরচ উঠা দায় হবে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভূঁইয়া মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগের তাগিদ দেন।
এছাড়াও, জৈব সার যেমন, ভার্মি কম্পোস্ট, কেঁচো সার ও ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।
-আরআই/এমএ